ইবিতে সিনিয়রকে থাপড়ালো জুনিয়র
ইবি প্রতিনিধি
🕐 ৫:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২২
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হলে প্রবেশের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় সিনিয়রকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক জুনিয়রের বিরুদ্ধে। শনিবার (২১ মে) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল গেটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত লাবীব ধ্রুব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ভুক্তভোগী সাদরিল হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অধ্যায়নরত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাইসাইকেল নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের রিডিং রুমে অ্যাসাইনমেন্ট করতে যাচ্ছিলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষার্থী। এ সময় ধ্রুব ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রায়হান নামে ছাত্রলীগ কর্মী হলে ঢোকার গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের সরে দাঁড়াতে বলেন ওই শিক্ষার্থী। সরে না দাঁড়ালে তাদের কাছে কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার গালে থাপ্পড় দেন ধ্রুব। এ সময় তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ধ্রুবসহ চার থেকে পাঁচ জন তাকে মারধর করেন।
রোববার দুপুরে এ ঘটনায় উভয়ই প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক মুর্শিদ আলম, সহযোগী অধ্যাপক আমজাদ হোসেন এবং সহযোগী অধ্যাপক শাহাবুব আলম।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী সাদরিল বলেন, আমি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলাম। ধ্রুব আরও একজন হলে ঢোকার গেটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি তোমরা এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন? তখন ধ্রুব বলে দাঁড়িয়ে আছি মানে বলেই খুব জোড়ে আমার গালে একটা থাপ্পড় দেয়। পরে তারা আবার মারতে আসে।
অভিযুক্ত ধ্রুব বলেন, ২১মে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় এলাকায় চলাচলের সময় সাদরিল সাইকেল দিয়ে আমাকে আঘাত করে। তাকে দেখেশুনে চালাতে বলায় আমার নাম পরিচয় জানতে চায়। আমি জুনিয়র জানতে পেরে আমার সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। বিভিন্ন ভাষায় আমাকে গালাগালি করে এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, আমি যেভাবে ইচ্ছা চালাবো তুই বলার কে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুজনেই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। উভয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছি। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।