ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মনে রাখার কৌশল

জুলহাস প্রামাণিক
🕐 ৪:৩০ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০

কোনো কিছু মনে রাখতে হলে তাকে সম্পূর্ণভাবে মনে রাখার চেষ্টা করা উচিত ভাগে ভাগে মনে রাখার চেয়ে সেটাই শ্রেয়। তবে বিষয়বস্তুটি যদি অতি দীর্ঘ হয় সে ক্ষেত্রে প্রথমে সামগ্রিক ও পরে অংশে অংশে ভাগ করে পড়তে হবে

আবৃত্তি (Recitation) : নীরবে পড়ার চেয়ে আবৃত্তি করে পড়া অনেক ভালো বিশেষত যেখানে মুখস্থ করার বিষয় আছে। কোনো একটি বিষয় পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকবার যদি বিষয়টিকে নিজের কাছে আবৃত্তি করা যায় তা হলে কোনো অংশটি অধিগত হয়নি তথা মুখস্থ হয়নি তা ধরা পড়ে এবং সে অংশ যে আবার পাঠ করা প্রয়োজন তা বোঝা যায়। 

আবৃত্তি মূল্যবান সময়ের অপচয় বন্ধ করে এবং বিষয়টিকে মনের মধ্যে গেঁথে দেয়। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী একই সঙ্গে পাঠক (পরীক্ষার্থী) ও শ্রোতা (পরীক্ষকের) ভূমিকা পালন করে এবং শ্রোতার ভূমিকায় সে পাঠকের ত্রুটি ধরে ফেলে পাঠককে তা সংশোধনে সহায়তা করে, ফলে এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও পুনরায় উৎপাদন সহজতর হয়।

একটি পরীক্ষা থেকে জানা যায়, কোনো বিষয় আয়ত্ত করতে গিয়ে তার সম্পূর্ণ সময় শুধু পাঠে নিয়োজিত করলে ৪ ঘণ্টা পর মাত্র ১৫% মনে থাকে, অন্যদিকে ওই সময়ের ৩-৫ অংশ আবৃত্তি করলে ৩৭% আবার মনে করা যায়।

চর্চা ও পর্যালোচনা (Review) : মাঝেমধ্যে পাঠ্য বিষয়ের চর্চা বা অনুশীলন ও সহপাঠীদের সঙ্গে পর্যালোচনা করলে বিষয়বস্তুর পুনরুজ্জীবন সহজতর হয়। কিছু আয়ত্ত করার ঠিক পরেই বিস্মৃতির মাত্রা হয় সর্বাপেক্ষা বেশি। তাই কিছু শিখে ফেলার কিছু সময় পর যদি বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয় তা হলে দীর্ঘদিন স্মরণে রাখা যায়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক গ্যারেট

(garrett) বলেন, শ্রেণিকক্ষে বক্তৃতার পর শিক্ষক যদি বিষয়টি নিয়ে ৫ মিনিট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখা যায়, দুমাস পরেও শিক্ষার্থীদের তা ৫০% বেশি মনে থাকে।

শিক্ষার্থীর কোনো কিছু জানা হয়ে গেলে তা তার বন্ধু বা বন্ধুদের প্রশ্ন করলে, বন্ধু উত্তর দানে ব্যর্থ হলে সে প্রশ্নকারী বন্ধুকে তা বুঝিয়ে দিতে বলবে আর উত্তর দিতে গিয়ে বিষয়ের চর্চা ও পর্যালোচনা হয়ে যায় ফলে তা দীর্ঘকাল মনে থাকে।

শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি (Classification method) : কোনো বিষয় শেখার সময় কোনটি কারণ, কোনটি কার্য কোন শ্রেণি, কোনটি উপ-শ্রেণি, কোনটি সিদ্ধান্ত এরূপভাবে বিবিধ সম্পর্ক নির্ণয় করে শিখলে বিষয়টি হৃদয়াঙ্গম করা যেমন সহজ হয়, তেমনি তা সহজে স্মরণ করা যায়।

যেমন- ৩৫, ৪৫, ৪১, ৬৭, ৬৫, ২৭, ২১, ৩৭, ৬৭ এবং ২১, ৩১, ৪১, ইত্যাদি।

সমগ্র পদ্ধতি বনাম অংশ পদ্ধতি (Whole learning versus part learning) : কোনো কিছু মনে রাখতে হলে তাকে সম্পূর্ণভাবে মনে রাখার চেষ্টা করা উচিত ভাগে ভাগে মনে রাখার চেয়ে সেটাই শ্রেয়। তবে বিষয়বস্তুটি যদি অতি দীর্ঘ হয় সে ক্ষেত্রে প্রথমে সামগ্রিক ও পরে অংশে অংশে ভাগ করে

পড়তে হবে। অর্থহীন শব্দ সমষ্টি, কবিতা, গদ্য, সংখ্যা ইত্যাদি বিষয় যাই হোক না কেন এদের ক্ষেত্রে সমগ্র শিক্ষা পদ্ধতি আংশিক শিক্ষা পদ্ধতি অপেক্ষা বেশি ফলপ্রসূ।

স্মৃতি সংকেত (Sensory Signal) : কোনো সংকেত বা স্মৃতি সহায়ক চিহ্নের সহায়তা গ্রহণ করলেও বিষয়বস্তু তাড়াতাড়ি স্মরণ করা যায়।

জুলহাস প্রামাণিক
সহকারি অধ্যাপক
একেএম রহমত উল্লাহ কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper