ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলা দ্বিতীয় পত্র

আজাদুর রহমান
🕐 ২:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৯

প্রশ্ন : বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর : বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ এখানে আলোচনা করা হলো :
১। সব অতৎসম শব্দের বানানে ই-কার হবে। যেমন- ইংরেজি, আরবি, বাঙালি ইত্যাদি।
২। সব অতৎসম শব্দের বানানে উ-কার হবে। যেমন- পুজো, মুলা, পুব ইত্যাদি।
৩। রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন- কর্ম, ধর্ম, কার্য ইত্যাদি।
৪। বিশেষণ পদ সাধারণত পরবর্তী পদের সঙ্গে যুক্ত হবে না। যেমন- নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, লাল ফুল ইত্যাদি।
৫। শব্দের শেষে বিসর্গ থাকবে না বা বর্জিত হবে। যেমন- মূলত, প্রধানত, কার্যত ইত্যাদি।

প্রশ্ন : বাংলা একাডেমি প্রণীত তৎসম শব্দের বানানের যেকোনো পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর : বাংলা একাডেমি প্রণীত তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো :
১। রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন- ধর্ম, কর্ম, মর্ম ইত্যাদি।
২। শব্দের শেষে বিসর্গ থাকবে না বা বর্জিত হবে। যেমন- প্রধানত, মূলত, কার্যত ইত্যাদি।
৩। যেসব তৎসম শব্দের বানানে ই, ঈ বা উ, ঊ উভই শুদ্ধ, সেসব শব্দের বানানে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন হবে। যেমন- পল্লি, শ্রেণি, সরণি ইত্যাদি।
৪। সন্ধির ক্ষেত্রে ক, খ, গ, ঘ পরে থাকলে পূর্বপদের অন্তস্থিত ম এর স্থানে অনুস্বার হবে। যেমন- অহম্+কার=অহংকার, সম্+গীত=সংগীত ইত্যাদি।
৫। ইন-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে ত্ব ও তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন- কৃতী-কৃতিত্ব, সহযোগী-সহযোগিতা ইত্যাদি।

যুক্ত হবে না। যেমন- নীল পদ্ম, লাল গোলাপ, সবুজ মাঠ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : সমাস কাকে বলে? বাংলা ভাষায় সমাসের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।
উত্তর : সমাস : সমাস একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ একাধিক পদের একপদে মিলন, সংকোচন বা সংক্ষেপণ।পরস্পর অর্থসংগতিপূর্ণ দুই বা ততোধিক পদ মিলে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমন- সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন। বাংলা ভাষায় সমাসের প্রয়োজনীয়তা : বাংলা শব্দ গঠনে সমাসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বক্তব্যকে সংক্ষেপ করার মাধ্যমে ভাষার সৌন্দর্য ও মাধুর্য বৃদ্ধি করে সমাস। বাক্যের মধ্যে অনাবশ্যক পদের ব্যবহার না করে সমাসবদ্ধ পদের ব্যবহারের মাধ্যমে বক্তব্য বিষয়টিকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করা হয়।
ফলে ভাষা হয় সংক্ষিপ্ত, শ্রুতিমধুর ও প্রাঞ্জল। যেমন- ‘চার রাস্তার সমাহার’ না বলে ‘চৌরাস্তা’ বললে তা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও শ্রুতিমধুর হয়।

আজাদুর রহমান, প্রভাষক
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper