ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরামর্শ

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৯

আজাদুর রহমান
🕐 ২:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯

আজ ১৭ নভেম্বর। শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের প্রতি শুভকামনা থাকল। পরীক্ষার প্রস্তুতির সুবিধার্থে পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিকল্পিতভাবে এগুতে হবে। যেমন, প্রথমে রিভিশন রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী অপেক্ষাকৃত দুর্বল চ্যাপ্টারগুলোর ঝালাই ও সবগুলো আগাগোড়া পড়তে হবে। বিশেষ করে নিজেই নিজের মডেল টেস্ট নিতে হবে। সময় ধরে নিতে হবে। এতে নিজেই উপলব্ধি করতে পারবে যে, পরীক্ষার জন্য তেমার প্রস্তুতি কেমন। এতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।

আর এ আত্মবিশ্বাসই তোমাকে শতভাগ সঠিক উত্তর দিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। বেশি করে বানান রীতি জানতে তথা চর্চা করতে হবে। অতি উৎফুল্ল হওয়া যাবে না : অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্ন কমন পড়েছে বা সহজ হয়েছে দেখে অতিরিক্ত ইজি গোয়িং হয়ে কিছুটা ধীরগতি হয়ে পড়ে এবং উত্তর লিখতে বিলম্ব করে এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যায় হাতে আর সময় থাকে না। তখন তড়িঘড়ি করে উত্তর লিখতে ভুল করে বসে, ফলে অতি উৎফুল্ল হওয়া চলবে না।

প্রয়োজন কাউন্সিলিং : পরীক্ষা চলাকালীন যেকোন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের সামাল দিতে পারে সেজন্য শিক্ষক কিংবা অভিভাবকদের উচিত সম্ভাব্য পরিস্থিতি অনুযায়ী তার সমাধান সংক্রান্ত কাউন্সিলিং প্রদান করা। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই আছে, যারা গোল্ডেন এ প্রাপ্তির ব্যাপারে মোটামোটি নিশ্চিত, তারা প্রশ্ন হাতে নিয়ে যদি দেখে যে প্রথম প্রশ্নটিই আনকমন, সেক্ষেত্রে ঘটতে পারে অনেক অঘটনই! তাই সেসব মুহূর্ত যাতে তারা সুন্দরভাবে মোকাবিলা করতে পারে সেজন্য তাদের এই মর্মে বুঝাতে হবে যে, একটি কমন পড়েনি তো কী হয়েছে? অন্যগুলো এমনভাবে লিখব যাতে ৯৯ মার্কস আমার আসে।

অর্থাৎ এক অনিষ্টের জন্য যাতে দশ অনিষ্ট না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ প্রস্তুতি যত ভালোই হোক-না-কেন, সামান্য হেরফের হতেই পারে। ফলে বিষয়টিকে মেনে নিয়ে পরীক্ষার হলে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে আগে ভালো জানা প্রশ্নোত্তরগুলো শেষ করতে হবে। আমার মতে শিক্ষক অভিভাবক সবারই অন্তত পরীক্ষার পূর্বে এসব বিষয়ে আলোচনা করে পরীক্ষার্থীকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা উচিত।

বিশেষ কিছু পরামর্শ : পরীক্ষার হলে সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার ক্ষেত্রে মোট সময়কে ভাগ করে নিতে হবে। যেমন- প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রশ্ন পড়ার জন্য ৫ মিনিট, রিভিশন করার জন্য ১০ মিনিট এবং বিবিধ ৫ মিনিট, বাকি সময় প্রশ্নে চাওয়া উদ্দীপকের জন্য প্রয়োজনমতো ভাগ করে নিবে।

শারীরিক ও মানসিকভাবে যাতে সুস্থ থাকো সেজন্য পরীক্ষার পূর্ব রাত্রে বেশি রাত জেগে পড়াশুনা করবে না এবং নতুন কোন পড়া না পড়ে কেবল রিভিশন দিবে ও পরীক্ষার হলে ব্যবহৃত কলম, কালি, বলপয়েন্ট পেন, সাইন পেন. স্কেল, পেনসিল, হাতঘড়ি, প্রবেশপত্র রেজি. কার্ড ইত্যাদি প্রস্তুত করে একটি বক্সে রাখবে।

আর পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছবে এবং সিট কোথায় পড়েছে তা খুঁজে বের করবে। তোমাদের জন্য শুভ কামনা রইল।

আজাদুর রহমান, প্রভাষক
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper