ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাংলা

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষর্থীদের প্রস্তুতি

ফাতেমা বেগম
🕐 ২:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০১৯

রচনা : মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোন আধুনিক সভ্যতার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। মোবাইল ছাড়া মানুষের এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারে না। মানবজীবনকে সবদিক থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে নিয়েছে এ যন্ত্রটি। আবিষ্কারের পর থেকে নানা ধরনের বিবর্তন মোবাইলকে তার উপযোগিতা ধরে রাখতে সাহায্য করেছে।

মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ড. মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে। তারা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১ কেজি ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।

মোবাইল অপারেটররা তাদের সেবা অঞ্চলকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজ ইত্যাদি আকারের অনেকগুলো ক্ষেত্র বা সেলে বিভক্ত করে ফেলেন। সাধারণত ষড়ভুজ আকৃতির সেলই বেশি দেখা যায়।

প্রত্যেকটি অঞ্চলের মোবাইল সেবা সরবরাহ করা হয় কয়েকটি নেটওয়ার্ক স্টেশন দিয়ে। নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলো আবার সাধারণত সেলগুলোর প্রতিটি কোণে অবস্থান করে। এভাবে অনেক সেলে বিভক্ত করে সেবা প্রদান করার কারণেই এটি ‘সেলফোন’ নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় এটি নিরবচ্ছিন্নভাবে সংযোগ দিতে পারে।

শুধু কথা বলাই নয়, আধুনিক মোবাইল ফোন দিয়ে আরও অনেক সেবা গ্রহণ করা যায়কথা বলার পাশাপাশি এ ধরনের ফোনগুলো অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ই-মেইল, এসএমএস বা খুদে বার্তা, প্রেরণ ও গ্রহণ, ক্যালকুলেটর, মুদ্রণ, সংকেতবিষয়ক কার্যাবলি, ইন্টারনেট, গেমস খেলা, ছবি ও ভিডিও তোলা, ঘড়ির সময় দেখা, কথা রেকর্ড করা, ট্রেনের টিকিট বুকিং করা, বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেওয়া, টাকার আদান-প্রদান করা ইত্যাদি।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালে । হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে অগচঝ মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানি রয়েছে। এদের মধ্যে ৫টি জিএসএম এবং একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিচ্ছে।

মোবাইল ফোন আমাদের জীবনযাত্রাকে যেমন সহজতর করেছে তেমনি বেশকিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে এর।

মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে দিয়েছে বেগ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কেড়ে নিয়েছে জীবনের প্রাণশক্তি আবেগকে। মানুষের মধ্যে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি হয়েছে মোবাইলের ফলে। মিথ্য বলার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্মশক্তি হ্রাস করে দিচ্ছে।

তরুণ সমাজের মোবাইল আসক্তি বেশ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণের এ যুগে মোবাইল বিশ^ জগৎকে মানুষের হাতের মুঠোয় বন্দি করেছে। যার ফলে মানুষের জীবনযাত্রা বেশ সহজতর ও আরামদায়ক হয়েছে।

ফাতেমা বেগম, শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, চাঁদপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper