ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জেএসসি

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

সুধীর বরণ মাঝি
🕐 ২:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯

উদ্দীপক : অর্ণব ও অর্পা ঈদের ছুটিতে মামা বাড়ি বেড়াতে গেল। তারা মামার কাছে স্থানীয় বিখ্যাত নিদর্শনগুলো দেখার বায়না ধরল। মামা তাদের মসলিনের জন্য বিখ্যাত স্থানটি ঘুরতে নিয়ে গেলেন। তারা সেখানে বিভিন্ন ইমারতের স্থাপত্য ও নকশা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল। মামা তাদের পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত পুরাকীর্তিগুলোর নিদর্শন দেখাতে নিয়ে যান। যাতে তারা অতীত ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে।

ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি কোথায় অবস্থিত? খ) প্রত্নতত্ত্ব বলতে কী বোঝায়? গ) তারা যে স্থানটি পরিদর্শন করে সেটির ঐতিহ্য ব্যাখ্যা করো। ঘ) মামা তাদের কোথায় নিলে তারা ঐতিহ্য সচেতন হতে পারবে তা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
ক) উত্তর: কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিজড়ানো কুঠিবাড়ি অবস্থিত।
খ) উত্তর: প্রত্ন অর্থ পুরনো বা প্রাচীন আর তত্ত্ব অর্থ জ্ঞান। শাব্দিক অর্থে প্রত্নতত্ত্ব বলতে পুরনো সময়ের বা প্রাচীন দ্রব্য সম্পর্কিত জ্ঞানকে বুঝায়। প্রত্নতত্ত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ অৎপযবড়ষড়মু- অর্থ প্রাচীন দ্রব্য সম্পর্কিত জ্ঞান। বস্তুগত নিদর্শনের ভিত্তিতে অতীত পুনর্নির্মাণ করার বিজ্ঞানকে প্রত্নতত্ত্ব বলে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, অতীত যুগের মানুষের ব্যবহার্য দ্রব্য সামগ্রীর ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সে যুগের মানুষের সমীক্ষা বা অধ্যয়ন করাই হলো প্রত্নতত্ত্ব। বাংলায় প্রত্নতত্ত্ব চর্চার সূচনা হয় উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে।
গ) উত্তর: তারা যে স্থানটি পরিদর্শন করে সেটি সোনারগাঁও। প্রত্ননিদর্শনের কারণে এই শহরের ঐতিহ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুলতানি আমলে বাংলার রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। মসলিন শাড়ির উৎপাদন ও ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে এর খ্যাতি ছিল। সোনারগাঁওয়ের পানাম নগরে ধনী ব্যবসায়ীরা মূল সড়কের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে অনেক ইমারত নির্মাণ করেন।
পানাম নগরে এখনো এরকম ৫২টি ইমারত টিকে আছে। এলাকার নিরাপত্তার জন্য পানামের অধিবাসীরা ইমারতগুলোর চারপাশ ঘিরে পরিখা খনন করেছিল।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ভবনগুলোতে ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করা হয়। তবে এদের নির্মাণকলায় মোগল স্থাপত্যেরও প্রভাব রয়েছে। পানামের আশপাশে আরও কয়েকটি চমৎকার ইমারত এখনো টিকে আছে।
ঘ) উত্তর: অর্ণব ও অর্পার মামা তাদের জাদুঘরে নিয়ে গেলে তারা সেখানে সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ দেখে ঐতিহ্য সচেতন হতে পারবে। বাংলাদেশের পুরাকীর্তিগুলো থেকে পাওয়া অনেক প্রত্ননিদর্শন জাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়।
অর্ণব ও অর্পার মামা তাদের এসব প্রত্নসম্পদ দেখাতে নিয়ে গেলে তারা সেগুলো দেখে দেশের পুরনো ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
ঢাকার জাতীয় জাদুঘর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জাদুঘরেও রয়েছে প্রচুর প্রত্নসম্পদ। জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারিতে প্রত্ননিদর্শনের সঙ্গে প্রদর্শন করা হয়েছে বাংলার নবাব, জমিদার ও ইংরেজ শাসনামলের বেশ কিছু প্রত্নসম্পদ। কোনো কোনো আঞ্চলিক জাদুঘর ও সংগ্রহশালায় নানা প্রত্ননির্দশন প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। অধিকাংশ সংগ্রহশালাই জমিদারদের পুরনো প্রাসাদে অবস্থিত। জমিদারদের ব্যবহার করা নানা দ্রব্য ও তাদের সংগ্রহ করা প্রত্নসম্পদ সেখানে প্রদর্শন করা হয়।

সুধীর বরণ মাঝি, শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় চাঁদপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper