পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি
বিজ্ঞান
ফাতেমা বেগম
🕐 ৭:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৯
অধ্যায়-১১ :
১. অনেক লম্বা সময় শুষ্ক আবহাওয়া থাকলে খরা দেখা দেয়। অস্বাভাবিক কম বৃষ্টিপাত ও উচ্চ তাপমাত্রাই হলো খরার কারণ। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খরা সৃষ্টি হয়।
২. কালবৈশাখী : গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে যে বজ্র ঝড় হয় তাই কালবৈশাখী নামে পরিচিত।
৩. স্থলভাগ অত্যন্ত গরম হাওয়ার ফলেই কালবৈশাখী সৃষ্টি হয়। সাধারণত বিকাল বেলায় কালবৈশাখী ঝড় বেশি হয়। এ ঝড় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সঞ্চারণশীল ধূসর।
৪. টর্নেডো : টর্নেডো হলো সরু, ফানেল আকৃতির ঘূর্ণায়মান শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ। টর্নেডো আকারে সাধারণত এক কিলোমিটারের কম হয়।
৫. ঘূর্ণিঝড় হলো নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট ঘূর্ণায়মান সামুদ্রিক বজ্র ঝড়। এটি ৫০০ থেকে ৮০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়। নিম্নচাপ থেকেই তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়।
৬. ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।
অধ্যায়-১২ : জলবায়ু পরিবর্তন
১. জলবায়ু হলো আবহাওয়ার দীর্ঘ সময়ের গড় অবস্থা।
২. আবহাওয়ার উপাদানগুলোর উল্লেখযোগ্য স্থায়ী পরিবর্তন হল জলবায়ু পরিবর্তন।
৩. কোনো স্থানের জলবায়ু হঠাৎ পরিবর্তন হয় না।
৪. পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা এভাবে বেড়ে যাওয়াকে বৈশি^ক উষ্ণায়ন বলে।
৫. বিকারের ভেতর দ্রুত গরম হয়ে ওঠে। আর এটিই হল গ্রিন হাউস ধারণার মূল বিষয়।
৬. গ্রিন হাউস হলো কাচের তৈরি ঘর যা ভেতরে সূর্যের তাপ আটকে রাখে
৭. গ্রিন হাউস প্রভাব ও গ্রিন হাউস গ্যাস : বায়ুম-ল হলো পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুর স্তর।
৮. বায়ুম-লের জলীয়বাষ্প ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রিন হাউসের কাচের দেয়ালের মতো কাজ করে। তাপ ধরে রাখার এই ঘটনাকেই গ্রিন হাউস প্রভাব বলে।
৯. তাপ ধরে রাখার জন্য দায়ী এসব গ্যাসই হলো গ্রিন হাউস গ্যাস।
১০. মানুষের কর্মকা- ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন : বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে।
১১. বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি করে তাপ ধরে রাখছে।
১২. পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াই হলো বৈশি^ক উষ্ণায়ন।
১৩. বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে এবং সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৪. ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৫. জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য আমরা দুটি কৌশল অবলম্বন করতে পারি।
১৬. জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে বায়ুম-লে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি।
১৭. বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুম-লের কার্বন ডাই-অক্সাইড হ্রাস করতে পারি।
১৮. অভিযোজনের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমানো ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৯. দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, টর্নেডো, নদীভাঙন ইত্যাদি।
২০. আমাদের বাংলাদেশের জলবায়ু সম্পর্কে জানা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।
সিনিয়র শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228