ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নবম-দশম : গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বাংলা প্রথমপত্র

আলিফ লায়লা
🕐 ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০২, ২০১৯

ঝর্ণার গান
-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
সুমন ও তার বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যায় মাধবকুণ্ডে। সেখানে তারা দেখল পাহাড়ের গা বেয়ে পাথরে পাথরে ছিটকে পড়ছে বহমান ঝর্ণাধারা। এ অবিরাম জলধারা যেন মানব হৃদয়ে আনন্দের সৃষ্টি করে। এছাড়া জলাধারের চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশও তাদের মুগ্ধ করে। এ সময় সুমন বলল, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ ঝর্ণা।

ক) ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে?
খ) ‘চপল পায় কেবল ধাই’ বলতে এখানে কী বোঝানো হয়েছে?
গ) উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’ উক্তির সঙ্গে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ) প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের আধার ঝর্ণা- মন্তব্যটি ঝর্ণার গান কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
উত্তর ক : ঝর্ণা চপল পায়ে ছুটে চলে।

উত্তর খ : ‘চপল পায় কেবল ধাই’ বলতে ঝর্ণার চঞ্চলতাকে বোঝানো হয়েছে। ঝর্ণা পাহাড়ি পরিবেশে তার আপন গতিতে ছুটে চলে। এতে পাহাড় ঘাড় ঘুরিয়ে ভয় দেখালেও সে তার তোয়াক্কা করে না। নূপুর পায়ে এগিয়ে চলে সে। এতে পাহাড়ি পরিবেশে সৃষ্টি হয় অপূর্ব সৌন্দর্যের।

উত্তর গ : উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’ পঙ্ক্তিটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা তার অপার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য মুগ্ধ চোখকে আহ্বান জানিয়েছে। প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি ঝর্ণা। এর মধ্য দিয়েই পাহাড়ি প্রকৃতি হয়ে ওঠে সমৃদ্ধ। ঝর্ণা তার চপল পায়ে নেমে আসে মাটির বুকে। এ অপরূপ সৌন্দর্য কেবল শিল্পীর চোখেই ফুটে ওঠে।

উদ্দীপকে দেখা যায়, সুমন ও তার বন্ধুরা ঘুরতে যায় মাধবকুণ্ডে। সেখানে রয়েছে প্রকৃতির মনোহর জলধারা। এ জলধারার অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় তারা। মূলত তাদের মধ্যে রয়েছে শিল্পীহৃদয়। শিল্পীহৃদয় তাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে উৎসাহিত করে। প্রকৃতি যেন তার উপভোগের যোগ্য শিল্পীকে খুঁজে পায় সুমনের মধ্যে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটিতে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার চাওয়ারই প্রতিফলন ঘটেছে।

উত্তর ঘ : প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টিতে তুলনাহীন। কবি তার ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্যের বিষয়টি শৈল্পিক দৃষ্টিতে তুলে ধরেছেন। চঞ্চল পায়ে পুলকিত গতি নিয়ে স্তব্ধ পাহাড়ের বুকে আনন্দের পদচিহ্ন রাখে ঝর্ণা। নির্জন দুপুরে পাখির ডাকও শোনা যায় না পাহাড়ি পরিবেশে। অথচ সুউচ্চ পর্বত থেকে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে নেমে আসে এ জলধারা।

যা প্রকৃতির বুকে সৃষ্টি করে এক অপার সৌন্দর্যের। উদ্দীপকের মূল বক্তব্যেও ঝর্ণার সৌন্দর্যের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। মাধবকুণ্ডের নির্জন প্রকৃতির মঝে ঘুরতে যায় সুমন ও তার বন্ধুরা। জলধারার সৌন্দর্য তাদের শিল্পী নয়নে ধরা পড়ে উজ্জ্বল হয়ে। এ জলধারার চারপাশের প্রকৃতিও তাদের মধ্যে অনুভূতির সৃষ্টি করে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় সুমনের কথায়।

ঝর্ণা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রকৃতির মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় এ সৌন্দর্যকে। এর অপার সৌন্দর্য শিল্পীর চোখকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাই বলা যায়, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের আধার ঝর্ণা মন্তব্যটি যথার্থ।

সিনিয়র শিক্ষক
সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper