ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বিজ্ঞান

ফাতেমা বেগম তমা
🕐 ২:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০১৯

জীব ও জড়ের মধ্যকার সম্পর্ক
১. পরিবেশের উপাদানগুলোকে আমরা জীব ও জড় এই দুই ভাগে ভাগ করি। মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা এরা হলো জীব।
২. মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন জড় বস্তুর ওপর নির্ভর করে। মানুষের শ্বাস গ্রহণের জন্য বায়ু, পান করার জন্য পানি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য খাবার প্রয়োজন।
৩. অন্য প্রাণী সব জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ু, পানি ও খাদ্য প্রয়োজন।
উদ্ভিদ : উদ্ভিদ সূর্যের আলো, পানি ও বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।

৪. কোনো স্থানের সব জীব ও জড় এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো ওই স্থানের বাস্তুসংস্থান।
৫. উদ্ভিদ ও প্রাণীর পারস্পরিক নির্ভরশীলতা
পরিবেশে উদ্ভিদ ও প্রাণী একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল।
৬. প্রাণী বিভিন্নভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন প্রাণী শ্বাস গ্রহণের সময় ব্যবহার করে।
৭. উদ্ভিদ : উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও জীবেন বিস্তরণের জন্য প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির জন্য প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে।
৮. প্রাণীর মৃতদেহ প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয়।
৯. পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়।
১০. এ বীজ থেকে আবার নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
১১. বিভিন্ন প্রাণী যেমন পাখি, মৌমাছি ইত্যাদি এই পরাগায়নের সাহায্য করে।
১২. মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ।
১৩. বীজের বিস্তার নতুন নতুন উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
১৪. শক্তি প্রবাহ : বেঁচে থাকার জন্য জীবের শক্তি প্রয়োজন। উদ্ভিদ সূর্য থেকে পায়। আর প্রাণী শক্তি পায় খাদ্য থেকে।
১৫. খাদ্য শৃঙ্খল : সব প্রাণীই শক্তির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। শক্তি উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে প্রবাহিত হয়। বাস্তুসংস্থানের উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রাবাহের এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়াই হলো খাদ্য শৃঙ্খল।
১৬. সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্য শৃঙ্খলের শুরু।

আমাদের জীবনে তথ্য
প্রশ্ন : তথ্য বিনিময় না করলে কী হতে পারে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উপাত্ত যখন বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে তথ্য বলে। তথ্য এখন প্রাকৃতিক সম্পদের মতোই মূল্যবান। বস্তুগত সম্পদ যেমন মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলাতে পারে, সমস্যার সমাধান দিতে পারে, তথ্যও তেমনি গভীরভাবে আমাদের জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে এবং সমস্যার সমাধান দিতে পারে। যেমন- আবহাওয়াবিদরা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সব গুরুত্ব তথ্য বিনিময় করে বলেই উপকূল অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষা পায়। সমুদ্রের জাহাজগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারত। অথচ ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে তথ্যের অভাবে প্রায় ৫ লাখ লোক মারা যায় আর সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ফাতেমা বেগম তমা
সিনিয়র শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper