ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অষ্টম শ্রেণি

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান

সরওয়ার হোসেন
🕐 ৪:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৯

প্রশ্ন : জিন কী?
উত্তর : জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী একককে জিন বলে। জিন হলো ক্রোমোজমে অবস্থিত DNA।
প্রশ্ন : মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : মিয়োসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি দুইবার ও ক্রোমোজম একবার বিভক্ত হয়। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজমের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়। এ বিভাজনে ক্রোমোজমের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পায় বলে মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়।

প্রশ্ন : ক্যারিওকাইনেসিস কী?
উত্তর : নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে ক্যারিওকাইনেসিস বলে।
প্রশ্ন : মিয়োসিস কেন হয়?
উত্তর : যৌনজননে পুং ও স্ত্রীজনন কোষের মিলনের প্রয়োজন পড়ে। যদি জননকোষগুলোর ক্রোমোজম সংখ্যা দেহকোষের সমান থেকে যায় তাহলে জাইগোট কোষে জীবটির ক্রোমোজম দেহকোষের ক্রোমোজম সংখ্যার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মিয়োসিস কোষ বিভাজনে জননকোষে ক্রোমোজম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। ফলে দুটি জননকোষ একত্র হয়ে যে জাইগোট গঠন করে তার ক্রোমোজম প্রজাতির ক্রোমোজম সংখ্যার অনুরূপ থাকে। এতে নির্দিষ্ট প্রজাতির ক্রোমোজম সংখ্যার ধ্রুবতা বজায় থাকে। এ জন্য মিয়োসিস হয়।
প্রশ্ন : জিনতত্ত্বের জনক কে?
উত্তর : জিনতত্ত্বের জনক হলেন গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।
প্রশ্ন : বংশগতি বলতে কী বোঝো? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য যে প্রক্রিয়ায় সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে। সন্তানরা মাতা-পিতার যেসব বৈশিষ্ট্য পায়, সেগুলোকে বংশগত বৈশিষ্ট্য বলে। যেমন চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার রং ইত্যাদি তার মাতা-পিতা থেকে পেয়ে থাকে।
সৃজনশীল
উদ্দীপকটি পড়ো এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মিলিদের বাড়ির ছাদে টবের ছোট্ট পেয়ারা গাছটি ছয় মাসে অনেক লম্বা হয়েছে। সে মায়ের কাছে জানল কোষ বিভাজনের কারণে এমন হয়েছে। মা শেষে বলেন, ‘বংশগতি নির্ধারণে, ক্রোমোজম, DNA এবং RNA-এর ভূমিকা রয়েছে।
ক) মিয়োসিস কী?
খ) ইন্টারফেজ বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকের বিভাজন প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ধাপটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ) মায়ের বলা শেষ উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : ক. কোষ বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস দুবার ও ক্রোমোজম একবার বিভক্ত হয়। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজমের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়, তাকে মিয়োসিস বলে।
খ. ক্যারিওকাইনেসিস ও সাইটোকাইনেসিস শুরু হওয়ার আগে কোষটির নিউক্লিয়াসকে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হয়। কোষটির এ অবস্থাকে ইন্টারফেজ বলে।
গ. মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ফলে পেয়ারা গাছটির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ধাপ হলো প্রোফেজ।
১) কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয়।
২) পানি বিয়োজনের ফলে নিউক্লিয়ার জালিকা ভেঙে গিয়ে কতগুলো নির্দিষ্টসংখ্যক আঁকাবাঁকা সুতার মতো অংশের সৃষ্টি হয়। এগুলোকে ক্রোমোজম বলে। এরপর প্রতিটি ক্রোমোজম লম্বালম্বিভাবে বিভক্ত হয়ে দুটি ক্রোমাটিড গঠন করে। এগুলো সেন্ট্রোমিয়ানামক একটি বিন্দুতে যুক্ত থাকে।
ঘ) মিলির মা বংশগতি নির্ধারণে ক্রোমোজম, DNA এবং RNA-এর ভূমিকার অপরিহার্যতা তুলে ধরেন। জীবকোষের প্রতিটি নিউক্লিয়াসে প্রজাতির বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজম থাকে। জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মূল উপাদান এই ক্রোমোজমে থাকে। বংশগতির মূল ভিত্তি ক্রোমোজমে অবস্থিত জিন জীবের বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। জিন হলো ক্রোমোজমে অবস্থিত উঘঅ। ক্রোমোজম জিনকে এক বংশ থেকে পরবর্তী বংশে বহন করার জন্য বাহক হিসেবে কাজ করে বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ন রাখে।
ক্রোমোজমের DNA অণুগুলো জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক এবং জীবদেহের বৈশিষ্ট্যগুলো পুরুষাণুক্রমে বহন করে। সুতরাং বংশানুক্রমে প্রতিটি প্রজাতির স্বকীয়তা রক্ষার মাধ্যমে বংশগতি নির্ধারণে ক্রোমোজম, উঘঅ এবং RNA-এর ভূমিকা অপরিসীম।

সরওয়ার হোসেন
সিনিয়র শিক্ষক, সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper