ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নবম-দশম : গুরুত্বপূর্ণ বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর

বাংলা দ্বিতীয়পত্র

সরওয়ার হোসেন
🕐 ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০১৯

১. ক্রিয়াপদের মূল অংশকে কী বলা হয়?
ক. যতি খ. ধাতু
গ. উক্তি ঘ. প্রকৃতি

২. যে সব ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, রূপ বা গঠনের দিক থেকে ন্যূনতম একক সেগুলোকে বলা হয়-
ক. মৌলিক ধাতু খ. যৌগিক ধাতু
গ. সাধিত ধাতু
ঘ. সংযোগমূলক ধাতু

৩. মৌলিক ধাতুর অপর নাম কী?
ক. সিদ্ধ বা স্বয়ংসিদ্ধ ধাতু
খ. ণিজন্তু ধাতু
গ. নাম ধাতু ঘ. প্রযোজক ধাতু

৪. ‘র্ক’ কোন ধাতুর উদাহরণ?
ক. সাধিত ধাতু খ. নাম ধাতু
গ. মৌলিক ধাতু ঘ. যৌগিক ধাতু

৫. খাঁটি বাংলা ধাতু কোনটি?
ক .আঁক্ খ. অঙ্ক গ. ডর ঘ. ধুব

৬. ‘হের ঐ দুয়ারে দাঁড়িয়ে কে?’- এ বাক্যে ‘হের’ কোন ধাতু?
ক. আরবি খ. হিন্দি
গ. ফারসি ঘ. অজ্ঞাতমূল

৭. বিদেশি ধাতু কোনটি?
ক. কৃৎ খ. টান্ গ. রাখ্ ঘ. খাদ্

৮. মৌলিক ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে কোন ধাতু গঠিত হয়?
ক. সংযোগমূলক ধাতু
খ. বিদেশি ধাতু
গ. তৎসম ধাতু ঘ. সাধিত ধাতু

৯. সাধিত ধাতু কয় প্রকার?
ক. দুই প্রকার খ. তিন প্রকার
গ. চার প্রকার ঘ. পাঁচ প্রকার

১০. বিশেষ্য, বিশেষণ বা অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগ কর যে ধাতু গঠিত হয় তাকে কী বলে?
ক. সাধিত ধাতু খ. বিদেশি ধাতু
গ. মৌলিক ধাতু ঘ. নাম ধাতু

১১. মৌলিক ধাতুর পরে প্রেরণার্থে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে কী বলে?
ক. সাধিত ধাতু খ. সংযোগমূলক ধাত
গ. নাম ধাতু ঘ. প্রযোজক ধাতু

১২. শিক্ষক ছাত্রটিকে বেতাচ্ছেন- কোন প্রকারের ধাতু দ্বারা গঠিত ক্রিয়াপদ যোগে বাক্যটি গঠিত হয়েছে?
ক. মৌলিক ধাতু খ. প্রযোজক ধাত
গ. নামধাতু ঘ. কর্মবাচ্যের ধাতু

১৩. ‘যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, কেষ্ট বেটাই চোর’
-এখানে ‘হারায়’ কোন ধাতু?
ক. নাম ধাতু খ. প্রযোজক ধাত
গ. কর্মবাচ্যের ধাতু ঘ. ভাববাচ্যের ধাতু
কৃৎ প্রত্যয়ের বিস্তারিত আলোচনা

১৪. ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত করার উদ্দেশ্য কী?
ক. ভাষা সংক্ষেপণ
খ. শব্দের মিলন গ. নতুন শব্দ গঠন ঘ. বাক্যে অলঙ্করণ

১৫. ধাতু কিংবা প্রাতিপাদিকের সঙ্গে যুক্ত হলে প্রত্যয়ের যে অংশ লোপ পায় তাকে কী বলে?
ক. উপধা খ. গুণ গ. বৃদ্ধি ঘ. ইৎ

সমাস
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের মিলনে যে পদ সৃষ্টি হয় তাকে সমাস বলে। সমাস অর্থ সংক্ষেপণ। এটি বহুপদকে একপদে নিয়ে এসে বাক্যকে সংকোচন করে।
যেমন- ভালো ও মন্দ = ভালোমন্দ, শহরের সদৃশ = উপশহর।

সমাসের প্রকারভেদ
সমাস প্রধানত ছয় প্রকার। যথা-
দ্বন্দ্ব সমাস : যে সমাসে দুই বা তার বেশি পদের মিলন হয় এবং প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
যেমন- দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম।
কর্মধারয় সমাস : বিশেষণ ও বিশেষণ বা বিশেষ ও বিশেষণ পদে যে সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
যেমন- কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা।
তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন- ছায়া দ্বারা শীতল = ছায়াশীতল।
বহুব্রীহি সমাস : যে সমাস সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো পদকে বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন-সমান কর্মী যে = সহকর্মী।
দ্বিগু সমাস : সমাহার বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন- তিন ভুজের সমাহার = ত্রিভুজ।
অব্যয়ীভাব সমাস : অব্যয় পদ পূর্বে বসে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয় পদের অর্থই বেশি প্রাধান্য পায় তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
যেমন- মরণ পর্যন্ত = আমরণ।

সিনিয়র শিক্ষক, সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড উল্লাহ কলেজ, ঢাকা।

উত্তর : ১.খ ২.ক ৩.ক ৪.গ ৫.ক ৬.ঘ ৭.খ ৮.ঘ ৯.খ ১০.ঘ ১১.ঘ ১২.খ ১৩.খ ১৪.গ ১৫.ঘ।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper