ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলা

ফাতেমা বেগম তমা
🕐 ৩:৩২ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০১৯

শখের মৃৎশিল্প
মামা বললেন, হাঁড়ি কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে এক সময় সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ হতো। এর অন্য নাম টেরাকোটা। বাংলার অনেক পুরনো শিল্প এই টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা।

শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ রয়েছে। মাটির ফলকে ছবি এঁকে শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো এমন সুন্দর হয়ে ওঠে! ছোট ছোট ফলকের পাশাপাশি জোড়া দিয়ে বড় করা যায়। পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প। মামা বললেন, টেরাকোটা বা পোড়ামাটির এসব কাজ এ দেশে শুরু হয়েছে হাজার বছর আগে।

প্রশ্ন :
ক) টেরাকোটা কী?
খ) কীভাবে টেরাকোটা তৈরি করা হয়? কোথায় এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়?
গ) অনুচ্ছেদের আলোকে একটি কুমারপাড়ার বর্ণনা দাও।
উত্তর : ক) টেরাকোটা হলো পোড়ামাটির ফলকের কারুকার্য। টেরাকোটা আমাদের দেশের অনেক প্রাচীন একটি মৃৎশিল্প। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে টেরাকোটা তৈরি করা হয়। এরূপ একটার পর একটা ফলক জোড়া দিয়ে বড় আকারের নকশা বা ছবি তৈরি করা হয়। যা আমাদের দেশে প্রাচীন সভ্যতায়ও প্রচলিত ছিল।
খ) নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হয় টেরাকোটা।
পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প। মাটির ফলকে ছবি এঁকে তা শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো খুব সুন্দর হয়ে ওঠে।
ছোট ছোট ফলকগুলো পাশাপাশি জোড়া দিয়ে বড় করা হয়।
তাতে বিভিন্ন ধরনের বড় আকারের নকশা, লতাপাতা, ছবি প্রভৃতি ফুটে ওঠে। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ দেখতে পাওয়া যায়। হাজার বছর আগে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির এসব কাজ এ দেশে শুরু হয়েছিল।
গ) কুমারপাড়া হলো যেখানে মৃৎশিল্পের কারিগররা একত্রে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বাস করে ও বিভিন্ন মৃৎ উপকরণ তৈরি করে এমন জায়গা।
কুমাররা গ্রামের কোনো একটা অংশে একত্রে বাস করে। যাকে কুমারপাড়া বলে। এখানে সবাই খুব ব্যস্ত থাকে। কেউ মাটির তাল চাক করে সাজিয়ে রাখে। কেউবা কাঠের চাকায় মাটি লাগিয়ে নানা আকারের পাত্র বানানোর কাজ করে।
কেউবা এগুলো সারি সারি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। প্রত্যেক ঘরের পাশেই থাকে মাটির জিনিস পোড়ানোর চুলা। উঁচু ছোট্ট ঢিবির মতো এই চুলা। সেখান থেকে ধোঁয়া বেরুতে থাকে। মাটির পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও অনেক সময় সেখানে কাজ করে। কুমারপাড়ায় বিভিন্ন ধরনের মৃৎশিল্প সারিবদ্ধভাবে সাজানো থাকে। কিছু থাকে কাঁচা অবস্থায়, কিছু থাকে পোড়ানো।
হাঁড়ি, কলস, সানকি, পেয়ালা, সরা, পুতুল, মটকা, জালা প্রভৃতি মৃৎশিল্প কুমারপাড়ায় দেখতে পাওয়া যায়।

ফাতেমা বেগম তমা, সিনিয়র শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper