ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলা

ফাতেমা বেগম তমা
🕐 ২:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০১৯

বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ
প্রশ্ন : দিনটি ছিল একাত্তরের ৮ এপ্রিল। ঐদিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণ করবে। এ জন্য তারা মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে। সঙ্গে নিয়ে আসে সাতটি স্পিডবোট আর দুটি মোটর লঞ্চ। স্বল্পসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ছিল অবধারিত। তবু মুক্তিযোদ্ধারা পালিয়ে যাননি।

 

আবদুর রউফ নিজেই দায়িত্ব নিলেন নিজের জীবন দিয়ে সবাইকে রক্ষা করার। হালকা একটা মেশিনগান হাতে তুলে নিয়ে গুলি ছুড়ে শত্রুদের রুখে দিতে থাকলেন। সহযোদ্ধাদের বললেন নিরাপদে সরে যেতে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল। বাকি লঞ্চ দুটো থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পিছু হটতে থাকল। এ রকম একটা মুহূর্তেই হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তার ওপর, তিনি শহীদ হলেন। বীরের রক্তস্রোতে রঞ্জিত হল মাটি। রাঙ্গামাটি জেলার বোর্ড বাজারের কাছে নানিয়ারচরের চিংড়িখালের কাছাকাছি একটা টিলার ওপর সমাহিত হন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ। পরবর্তী সময়ে সমাধিকে স্মৃতিস্তম্ভে রূপান্তরিত করে সরকার।

ক) মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল কেন?
খ) মুন্সী আবদুর রউফের যুদ্ধের বর্ণনা দাও।
গ) মুন্সী আবদুর রউফ কীভাবে শহীদ হন।

উত্তর : ক) সংখ্যায় স্বল্প ও হালকা অস্ত্র থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল।
মুন্সী আবদুর রউফের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল যুদ্ধটি হয়েছিল একটি অসম শক্তির যুদ্ধ। পাকিস্তানি সেনারা সংখ্যায় যেমন ছিল বেশি তেমনি তাদের কাছে ছিল আধুনিক সব অস্ত্র। পাকিস্তানিরা সাতটি স্পিডবোট আর দুটি মোটর লঞ্চ নিয়ে এগিয়ে আসে পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল সংখ্যায় খুবই কম। তাই এমতাবস্তায় স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয় ও মৃত্যু ছিল অবধারিত।

উত্তর : খ) ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণ করার জন্য মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে। সঙ্গে নিয়ে আসে সাতটি স্পিডবোট আর দুটি মোটর লঞ্চ। এত বড় শক্তির বিপক্ষে আবদুর রউফ নিজেই দায়িত্ব নিলেন নিজের জীবন দিয়ে সবাইকে রক্ষা করার। হালকা একটা মেশিনগান হাতে তুলে নিয়ে গুলি ছুড়ে শত্রুদের রুখে দিতে থাকলেন। সহযোদ্ধাদের বললেন নিরাপদে সরে যেতে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল। বাকি লঞ্চ দুটো থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পিছু হটতে থাকল। এ রকম একটা মুহূর্তেই হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তার ওপর, তিনি শহীদ হলেন। এভাবেই বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবন দান করেন মুন্সী আবদুর রউফ।

উত্তর : গ) মুন্সী আবদুর রউফ অসাধারণ বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দেশমাতার মুক্তির জন্য শহীদ হন।
১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি নৌসেনাদের ওপর আক্রমণ করবে। এ জন্য তারা মহালছড়ির কাছে বুড়িঘাট এলাকার চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান গ্রহণ করেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা সাতটি স্পিডবোট আর দুটি মোটর লঞ্চ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে। স্বল্পসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ছিল অবধারিত। তবু মুক্তিযোদ্ধারা পালিয়ে যাননি। এরকম পরিস্থিতিতে আবদুর রউফ নিজেই দায়িত্ব নিলেন নিজের জীবন দিয়ে সবাইকে রক্ষা করার। হালকা একটা মেশিনগান হাতে তুলে নিয়ে গুলি ছুড়ে শত্রুদের রুখে দিতে থাকলেন। সহযোদ্ধাদের বললেন নিরাপদে সরে যেতে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি সাতটি স্পিডবোটই ডুবে গেল। বাকি লঞ্চ দুটো থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা পিছু হটতে থাকল। এ রকম একটা মুহূর্তেই হঠাৎ একটা গোলা এসে পড়ল তার ওপর, তিনি শহীদ হলেন। তার এই আত্মত্যাগ বাঙালি যুগ যুগ স্মরণ করবে।

ফাতেমা বেগম তমা, সিনিয়র শিক্ষক
বর্ণমালা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper