ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সমাজবিজ্ঞান

গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৯

আসমা বেগম
🕐 ৪:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯

প্রথমপত্র
প্রশ্ন : গবেষণা পদ্ধতি কী?
উত্তর : গবেষণাকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয় তাকে গবেষণা পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন : ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : অতীতকালে সামাজিক ঘটনাবলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে বর্তমান সমাজ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভ করার পন্থাকেই সমাজ গবেষণায় ঐতিহাসিক পদ্ধতি বলে।
এ পদ্ধতিতে অতীত সমাজের গবেষণা, সামাজিক প্রক্রিয়া, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সমাজের পটভূমি, প্রকৃতি ও ভূমিকা সম্পর্কে জ্ঞানানুসন্ধান। ঐতিহাসিক পদ্ধতিতে গবেষক সমাজ গবেষণার বিভিন্ন প্রকাশিত গ্রন্থ, পত্রপত্রিকা, গবেষণা রিপোর্ট, সরকারি দলিল ইত্যাদির সাহায্য নেন। বস্তুত ঐতিহাসিক পদ্ধতিতে সমাজ গবেষণা করতে গেলে গবেষককে ঝবপড়হফধৎু ঝড়ঁৎপব-এর ওপর নির্ভর করতে হয়।

প্রশ্ন : সমাজবিজ্ঞানের জনক কে?
উত্তর : সমাজবিজ্ঞানের জনক ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁত।

প্রশ্ন : সামাজিক জরিপ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : সামাজিক জরিপ সামাজিক তথ্যানুসন্ধানের একটি পদ্ধতি।
সামাজিক জরিপ হলো বিভিন্ন কৌশলে তথ্যাবলি সংগ্রহ, তথ্যাবলির ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়া। এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো বিশেষ স্থানের জনসাধারণের জীবনযাপন প্রণালী ও কার্যের শর্ত সম্পর্কিত তথ্য জানা সহজ নয়। সামাজিক অবস্থানকে বিশ্লেষণ করা ও সুনির্দিষ্ট সমাজের গবেষণা করাই এ পদ্ধতির প্রধান লক্ষ্য।

প্রশ্ন : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির স্তর কয়টি?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির স্তর ছয়টি।

প্রশ্ন : গবেষণা সমস্যা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : গবেষণার সমস্যা বলতে যে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা হবে তাকে বোঝায়।
সমাজ গবেষণার প্রথম পর্যায়ের কাজ হচ্ছে কোনো একটি গবেষণার বিষয়কে নির্বাচন করা। এ পর্যায়ে গবেষক সমাজবিজ্ঞানের আওতায় পড়ে এমন কোনো একটি বিষয়কে গবেষণার জন্য নির্বাচন করেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পরিবার পরিকল্পনার প্রতি গ্রামবাসীর মনোভাব হচ্ছে গবেষণার বিষয়। আর এ বিষয়টিই হচ্ছে গবেষণার সমস্যা।

প্রশ্ন : ‘মানবসৃষ্ট সব কিছুর সমষ্টিই হলো সংস্কৃতি’- উক্তিটি কার?
উত্তর : ‘মানবসৃষ্ট সব কিছুর সমষ্টিই হলো সংস্কৃতি’- উক্তিটি করেছেন বিজ্ঞানী জোনস।

প্রশ্ন : অনুলোম ও প্রতিলোম বিয়ে কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : উচ্চবর্ণের পাত্রের সঙ্গে নিম্নবর্ণের পাত্রীর বিয়ে হলে তাকেই অনুলোম বিয়ে বলে। যেমন- ব্রাহ্মণ পাত্রের সঙ্গে বৈশ্য বা শূদ্র পাত্রীর বিয়ে হলো অনুলোম বিয়ে। আবার উচ্চবর্ণের পাত্রীর সঙ্গে নিম্নবর্ণের পাত্রের বিয়ে হলে তাকেই প্রতিলোম বিয়ে বলে। যেমন- বৈশ্য বা শূদ্র পাত্রের সঙ্গে ব্রাহ্মণ পাত্রীর বিয়ে।

সহকারী অধ্যাপক
একেএম রহমত উল্লাহ কলেজ
ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper