প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্বসহকারে পড়বে
এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৯
নজরুল ইসলাম
🕐 ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৯
প্রিয় পরীক্ষার্থীরা, ইতোমধ্যে হয়তো পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ করেছ। জাতীয় শিক্ষানীতি, কারিকুলাম এবং সিলেবাস মূলত একটি দেশের ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠী কীভাবে দেখতে চায় তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। তাই নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে সিলেবাসের প্রতিটি অংশ গুরুত্বসহকারে পড়া প্রয়োজন। তবে বোর্ড পরীক্ষার বিগত দিনের প্রশ্নগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রতিটি অধ্যায়ের কিছু বিশেষ অংশ থেকে প্রায় প্রতিবছরই প্রশ্ন আসে। ওই অংশগুলো থেকে সবসময়ই বেশি সংখ্যক প্রশ্ন আসবে এমনটি নাও হতে পারে।
সৃজনশীল পদ্ধতিতে কোনোভাবেই সাজেশননির্ভর কিছু নির্বাচিত প্রশ্নের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। সাজেশন করতে পার কিছু বিশেষ অংশের ওপর যেখান থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। প্রতিবছরই একই বিষয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় যেখানে বেশকিছু নতুনত্বও দেখা যায়। তাই তুমি যদি বিষয়গুলো ভালো করে পড় তবে ওই বিষয়ের মধ্য থেকে যে ধরনেরই প্রশ্ন আসুক না কেন তুমি অবশ্যই উত্তর করতে পারবে।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর যথাযথ করার জন্য মনোযোগ সহকারে উদ্দীপকটি কয়েকবার পড়। কারণ তোমার উত্তরের যথার্থতা নির্ভর করবে উদ্দীপকটি তুমি সঠিকভাবে বুঝতে পারছ কিনা তার ওপর। এ জন্য বিষয় অনুযায়ী বেশি বেশি সৃজনশীল প্রশ্ন অনুশীলন করা প্রয়োজন। এখন আমি অধ্যায় অনুযায়ী কিছু বিশেষ অংশের কথা বলব, যেখান থেকে বোর্ড পরীক্ষায় সাধারণত প্রশ্ন আসে। যেমন :
প্রথম অধ্যায় (পরিবেশ রসায়ন)
গ্যাসের সূত্রগুলো গাণিতিক সমস্যাসহ বিস্তারিত, গতিশক্তি, আদর্শ গ্যাস, বাস্তব গ্যাসের বিচ্যুতির কারণ, এসিড ক্ষারের মতবাদ, সিএফসি, ওজোনস্তর, এসিড বৃষ্টি, বায়ু এবং পানি দূষণ ও তার প্রতিকার।
দ্বিতীয় অধ্যায় (জৈব রসায়ন)
নামকরণ (ওটচঅঈ), সমানুতা (বিশেষ করে জ্যামিতিক এবং আলোক), অর্থোপ্যারা এবং মেটা নির্দেশক (ইলেক্ট্রনাকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কৌশলসহ), ইলেক্ট্রনাকর্ষী যুত বিক্রিয়া (কৌশলসহ), কেন্দ্রাকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (ঝঘ১, ঝঘ২ কৌশলসহ), প্রস্তুতি (অ্যালকেন, অ্যালকিন, অ্যালকাইন, অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, কিটোন, ফেনল, টিএনটি, গ্লিসারিন, শনাক্তকরণ (অ্যালকিন, অ্যালকাইন, অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড, কিটোন, কার্বক্সিলিক, এসিড, অ্যামিন), পার্থক্যকরণ (অ্যালকিন ও অ্যালকাইন, অ্যালডিহাইড ও কিটোন, প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি, অ্যালকোহল)।
তৃতীয় অধ্যায় (পরিমাণগত রসায়ন)
সমীকরণবিষয়ক এবং অম্লমিতি-ক্ষারমিতি অংশনির্ভর প্রশ্ন বেশি আসে। যেমন- দ্রবের পরিমাণ, দ্রবণের ঘনমাত্রা, আয়তন, দ্রবণের প্রকৃতি নির্ণয়। জারণ-বিজারণের সমতাকরণ পদ্ধতি, আকরিকের বিশুদ্ধতা এবং লাভজনক বিশ্লেষণ করা থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি।
চতুর্থ অধ্যায় (তড়িৎ রসায়ন)
ফ্যারাডের প্রথম সূত্র গাণিতিক সমস্যাসহ বিস্তারিত, অর্ধকোষ, কোষ তড়িৎ চালক বল, কোন পাত্রে কোন তড়িৎ বিশ্লেষণ দ্রবণ রাখা যাবে বা যাবে না তার ওপর গুরুত্ব দেবে। নার্নস্টের সমীকরণ অঙ্কসহ, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল, লিথিয়াম ব্যাটারি, লেড স্টোরেজ ব্যাটারি।
পঞ্চম অধ্যায় (অর্থনৈতিক রসায়ন)
শিল্পোৎপাদন (ইউরিয়া, সাবান, কাচ, সিমেন্ট, সিরামিক, কাগজ) চামড়া ট্যানিং, দূষকসমূহ এবং নিয়ন্ত্রণের কৌশল, ইটিপি, ন্যানো কণা, রিসাইক্লিং (কাগজ, প্লাস্টিক ও কাচ)।
আগেই তুমি প্রশ্নের নম্বর অনুযায়ী সময়কে সঠিকভাবে ভাগ করে নেবে, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে রিভিশন দিতে পার।
পরিশেষে, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির বাইরেও তোমাদের যে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে প্রথমে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে এবং পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে তোমার প্রস্তুতির ওপর আত্মবিশ্বাস রাখ যা তোমার পরীক্ষায় উত্তর লেখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
নজরুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক
একেএম রহমত উল্লাহ কলেজ
ঢাকা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228