ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উত্তর দাও প্রাসঙ্গিক

বশির আহমেদ
🕐 ৩:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮

পরামর্শ : সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে তোমাদের প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। তোমাদের কাছ থেকে পরীক্ষকদেরও এটাই প্রত্যাশা। পরীক্ষকদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যাবে না। পরীক্ষকেরা তোমাদের উত্তরপত্রে যে জিনিসগুলো চান সেগুলো হলো :

ক) উত্তর হবে সুস্পষ্ট এবং সহজ-সরল। কোনো অস্পষ্টতা কিংবা জটিলতা থাকবে না এতে।
খ) শব্দলঙ্কারযুক্ত বর্ণনার চেয়ে সোজাসাপটা উত্তর মূল্যায়ন করা অনেক সহজ। অতএব, অধিক বাক্যালঙ্কারপূর্ণ বর্ণনা পরিহার করে সোজাসাপটা সহজ-সরল উত্তর দাও।
গ) মূলপ্রসঙ্গে সরাসরি চলে গেলে পরীক্ষকের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

ঘ) উত্তর যত সংক্ষিপ্ত হবে, পরীক্ষকের জন্য এতে নম্বর দেওয়াও ততই সহজ হবে। অতএব, বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন যেখানে নেই, সেখানে উত্তর ছোট করে ফেল।
ঙ) পরীক্ষায় সাফল্য লাভের জন্য কোন জাদুর কাঠি নেই। পুরোটাই কঠিন বাস্তবতা। তার মানে খেটেখুটেই তোমাকে ভালো নম্বর অর্জন করতে হবে।
চ) পরীক্ষককে আলাদাভাবে তুষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি যা চান, তা হচ্ছে প্রশ্নের সঠিক উত্তর। অতএব, প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দাও।


পরীক্ষকেরাও মানুষ
ক) উত্তরপত্র পরীক্ষণ একটি নীরস, একঘেয়ে, দুরূহ কাজ। অথচ এমন একঘেয়ে কাজটিই পরীক্ষককে স¤পন্ন করতে হয় ধৈর্যের সঙ্গে। এমন উত্তর লেখা উচিত নয়, যা দেখে একপর্যায়ে পরীক্ষকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে।

খ) যথাযথ নম্বর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঠিক ‘গ্রেডে’ ফেলা নিতান্তই একটি কঠিন কাজ।
গ) কোন কোন প্রশ্ন আসলেই কঠিন। তার মানে, সেটা কেবল তোমার জন্য নয়, সবার জন্যই কঠিন। এসব প্রশ্ন মূল্যায়ন করতে পরীক্ষককেও একটু সময় নিতে হয়। এমন প্রশ্নের উত্তর ভেবেচিন্তে দিতে হবে।

ঘ) অস্পষ্ট, হিজিবিজি হাতের লেখা পরীক্ষকের বিরত্তিপ্তর উদ্রেক করতেই পারে। অতএব, হস্তাক্ষর সুন্দর হওয়া দরকার। সুন্দর লেখার প্রতি পররীক্ষকেরা স¦ভাবতই ইতিবাচকভাবে আকৃষ্ট হয়ে থাকেন।

পরীক্ষকেরা যা চান না
ক) পড়তে কষ্ট হয় এমন অপরিচ্ছন্ন লেখালেখি। অস্পষ্ট, ঝাপসা লেখা খুঁটিয়ে পড়তে কার ভালো লাগে বলো?
খ) প্রসঙ্গ ছেড়ে যাওয়া দীর্ঘ সূত্রে লেখা। প্রথমেই বলেছি, প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়াটা বিশেষ করে পরীক্ষার ক্ষেত্রে, বড়ই দোষের। মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে এটা-সেটা লিখলে ভালো নম্বর কীভাবে দেবেন পরীক্ষক? অতএব, উত্তর লেখার সময় বিষয়ভিত্তিক উত্তর লেখার প্রতি জোর দাও।

গ) অনেক সময় দেখা যায়, পরীক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা দুরূহ, অর্থহীন কিংবা চটকদার বাক্য ব্যবহারের চেষ্টা করে। এ ধাঁচের প্রচেষ্টা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে হবে।

ঘ) প্রশ্নের উত্তরে ব্যক্তিগত মতামতের আধিক্য ঘটাবে না।

আরও কিছু করণীয়
ক) সরাসরি মূল বক্তব্যে চলে যাও। ভূমিকাকে অযথা বা অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘায়িত করবে না। ভূমিকার ভারে মূল বর্ত্তব্য যেন তলিয়ে না যায় বা সংকুচিত না হয়ে পড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দেবে।
খ) মূল বিষয়কে আঁকড়ে ধরে থেকো। প্রাসঙ্গিকতা ছেড়ে যেয়ো না।
গ) তোমার উত্তরের সব অংশ যেন মূল প্রশ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সেদিকটা খেয়াল রেখো।
ঘ) আলোচ্য প্রশ্নের বিষয়ে তোমার যে উল্লেখযোগ্য দখল রয়েছে, এর প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা কর। এ জন্য বাস্তবসম্মত প্রমাণাদি উল্লেখ করতে পারো।
ঙ) যখনই সম্ভব হয় বিষয়ের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে বাস্তবভিত্তিক উদাহরণ দাঁড় করাও।
মোটকথা, পরীক্ষার খাতায় তোমার উত্তর হবে বিষয়ভিত্তিক ও প্রাসঙ্গিক।

প্রভাষক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ মেহেরপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper