ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এসএসসি : উত্তর লেখার কৌশল

বশির আহমেদ
🕐 ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

ভালো ফলাফল নির্ভর করে পরীক্ষার্থীর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের উপর। ভাল প্রস্তুতির পরও যদি খাতায় সঠিক উপস্থাপন করা না যায়, তাহলে সে প্রস্তুতি অনর্থক। তাই পরীক্ষার্থীদের জন্য খাতায় উত্তর লেখার কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো-

১. সকল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কিছু নির্দেশিকা দেয়া থাকে, সেগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। নির্দেশিকা অনুসরণ করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অত্যাবশ্যক।

২. লেখা শুরু করার পূর্বে উত্তর পত্র যথাযথ আছে কি -না তা চেক করা। অনেক সময় উত্তরপত্র ছেড়া থাকে বা পিন খোলা থাকে। মনে করো উত্তরপত্রের প্রথম পেজ ফিলআপ করার পরে বুঝতে পেরেছো, উত্তরপত্রে সমস্যা আছে। উত্তরপত্র চাইলে পরিবর্তন করে নিতে পারবে, তবে জীবন থেকে কিছু মূল্যবান সময় চলে গেল। পরীক্ষার প্রথমে এমন ঘটনা মাঝে মাঝে পরীক্ষার্থীদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। কারণ, পরীক্ষা মূলত একটা মাইন্ড গেম।

৩. খাতাটি হাতে পেয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড, শিক্ষাবোর্ডের নাম সহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি কালো বলপেন দিয়ে পূরণ করবে। যদি কোন কারণে ভুল হয়ে থাকে, তাহলে কর্তব্যরত শিক্ষকের শরণাপন্ন হবে।

৪. এরপর খাতায় মার্জিন করে ফেলবে। অবশ্যই বক্স স্কেলিং নয়। এতে লেখার জায়গা কমে যায়। খাতায় মার্জিন করার সময় কালো, নীল, সবুজ কালি ব্যবহার করবে তবে ক্ষেত্র বিশেষে পেনসিল ও ব্যবহার করা যেতে পারে। সময় থাকলে খাতায় পৃষ্ঠা নম্বর ও সংযুক্ত করা যেতে পারে।

৫. প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়ে ফেলতে হবে।

বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে, কোন বিভাগ থেকে কতটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে, আবার কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া আবশ্যিক কি -না। অনেক ক্ষেত্রে প্রথমে প্রশ্ন দেখে কঠিন মনে হয়, কিন্তু কয়েকবার পড়ার পরে দেখা যায় প্রশ্নটা আদৌ কঠিন নয়।

৬. কোন প্রশ্ন না বুঝে থাকলে সম্ভবপর হলে পরিদর্শকের নিকট থেকে বুঝে নেয়া। কারণ সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রে তোমার সাময়িক ভুল চিন্তা সমস্ত প্রশ্নের উত্তরটাই পরিবর্তন করে দিতে পারে। যা ভালো ফলাফলের পরিপন্থী।

৭. সময় বণ্টনের আলোকে উত্তর লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কত সময় পাবে তা আগে থেকে হিসেব করে রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী উত্তর লিখতে হবে। যদি বরাদ্দকৃত সময়ের কিছু বেঁচে যায়, তবে তা পরবর্তী কোন প্রশ্নে ব্যবহার করতে পারবে।

৮. প্রশ্ন যাচাই -বাছাই করে সবচেয়ে সহজ ও জানাশুনা প্রশ্ন দিয়ে খাতায় লেখা শুরু করতে হবে। সাধারণত পরীক্ষক প্রথম দুই- তিনটা প্রশ্নের উত্তর পড়ে শিক্ষার্থী সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা লাভ করে থাকেন।

সুতরাং, প্রথম দুই -তিনটা উত্তর যথাযথ হলে ঐ পরীক্ষার্থী সম্পর্কে পরীক্ষকের ইতিবাচক ধারণা জন্মাবে। যা ঐ বিষয়ে ভাল নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

৯. ধারাবাহিকভাবে সকল প্রশ্নের উত্তর লেখা উত্তম। এতে একজন পরীক্ষকের পক্ষে খাতা মূল্যায়ন করা সহজ হয় এবং পরীক্ষকও খুশি হন।

১০. সুন্দর, সুস্পষ্ট ও নির্ভুলভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখতে হবে। অযথা কাটাকাটি, ওভার-রাইটিং, ঘষামাজা ভালো নম্বর পাওয়ার পরিপন্থী। বলে রাখা ভাল সুন্দরের অর্থ এই নয় যে, তুমি খাতায় ডিজাইনার বা শিল্পীর ভূমিকা পালন করবে।

১১. প্যারা করে লেখার চেষ্টা করবে এতে করে হাতের লেখা সুন্দর দেখাবে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজে পরীক্ষকের দৃষ্টিগোচরে আসবে।

প্রভাষক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ মেহেরপুর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper