এইচএসসি : ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
বাংলা দ্বিতীয়পত্র
মো. সুজাউদ দৌলা
🕐 ২:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
প্রশ্ন : আবেগ শব্দ কাকে বলে? কত প্রকার কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর : যেসব শব্দের সাহায্যে মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয়, সেগুলোকে বলা হয় আবেগ শব্দ। এ ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
মানুষের বিচিত্র আবেগের প্রকাশ অনুসারে আবেগ শব্দকে আট ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো
১. সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ
২. প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দ
৩. বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ
৪. ভয় ও যন্ত্রণাসূচক আবেগ শব্দ
৫. বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ
৬. করুণাসূচক আবেগ শব্দ
৭. সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ
৮. অলঙ্কারিক আবেগ শব্দ
সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ : যে শব্দের সাহায্যে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পায়, তাকে সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বেশ, তুমি যা বলছ, তা-ই হবে।
প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ প্রশংসার মনোভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বাঃ! চমৎকার একটা গল্প লিখেছ!
বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ ঘৃণা, অবজ্ঞা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বিরক্তিসূচক শব্দ বলে।
যেমন- ছি! ছি! এটা তুমি কী বললে!ভয় ও যন্ত্রণাসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা ও ভয় প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- আঃ! কী বিপদ!
বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে, সেগুলোকে বলা হয় বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ। যেমন আরে! তুমি আবার কখন এলে!
করুণাসূচক আবেগ : যেসব শব্দ করুণা, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে, সেগুলোকে করুণাসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- হায়! হায়! এ অনাথ শিশুদের এখন কে দেখবে!
সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন হে বন্ধু, তোমাকে অভিনন্দন।
আলঙ্কারিক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশন, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে আলঙ্কারিক আবেগ শব্দ বলে।
প্রশ্ন : অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর : ‘অনু’ কথাটির অর্থ পরে বা পশ্চাতে, আর ‘সর্গ’ মানে সৃষ্টি বা ব্যবহার। সুতরাং সাধারণভাবে অনুসর্গ বলতে বোঝায় যা পরে ব্যবহৃত হয়। উপসর্গ যেমন ধাতুর আগে বসে, অনুসর্গ তেমন পদের পরে বসে।
যেসব অব্যয় বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে পৃথকভাবে বসে শব্দ বিভক্তির মতো তাদের কারক-সম্বন্ধ নির্ধারণ করে, তাদের অনুসর্গ বলা হয়। কেবল বিভক্তির মতো কারক-সম্বন্ধ নির্দেশ করলে তবেই তাদের অনুসর্গ বলে।
অনুসর্গের বৈশিষ্ট্য
অনুসর্গের কতগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো
১. অনুসর্গ অব্যয় পদ। এগুলোর অর্থ আছে।
২. অনুসর্গ শব্দের পরে বসে ওই শব্দের সঙ্গে পরবর্তী শব্দের সম্পর্ক সৃষ্টি করে।
৩. বিভক্তি দিয়ে যেমন কারক চেনা যায়, তেমনি অনুসর্গ দিয়েও কারক চেনা যায়।
৪. অব্যয়গুলোর নিজস্ব অর্থ থাকায় সেগুলো পৃথকভাবে ব্যবহৃত হলে অনুসর্গ হয় না।
৫. অনুসর্গের পূর্ব পদটি বিশেষ্য হলে সেটি বিভক্তিযুক্ত হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। কিন্তু সর্বনাম হলে বিভক্তিযুক্ত হবেই।
৬. অনুসর্গ বিভক্তির মতো কাজ করে।
৭. কতগুলো অনুসর্গ শব্দ-বিভক্তির মতো ব্যবহৃত হয়ে কারক নির্ণয়ে সাহায্য করে। এগুলো হচ্ছেÑ হইতে, হতে, চেয়ে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি।
প্রভাষক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228