ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৮

বাংলা নিয়ে দশ পরামর্শ

মো. সুজাউদ দৌলা
🕐 ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮

প্রিয় শিক্ষার্থীরা
আজ ১৮ নভেম্বর শুরু হচ্ছে তোমাদের শিক্ষা জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী। পরীক্ষা হলে করণীয় ১০টি পরামর্শ নিচে প্রদান করা হলো।
১. পরীক্ষার হলে খাতা হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটুও সময় নষ্ট না করে মার্জিন করবে। খাতার ওপরের দিকে দেড় ইঞ্চি এবং বাম দিকে এক ইঞ্চি মার্জিন করবে। সাধারণত পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করা ভালো। বক্স আকারেও মার্জিন করা যায়। এ জাতীয় স্কেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

২. পরীক্ষার খাতায় প্রায়ই দেখা যায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী এক লাইন থেকে আরেক লাইনের মধ্যে বেশ ফাঁকা জায়গা রেখে দেয় অথবা পৃষ্ঠার ডান পাশে এবং নিচে বেশি জায়গা রাখে।
প্রশ্নের উত্তরে পৃষ্ঠার সংখ্যা বাড়াতে তারা এ কাজ করে। এ রকমের চালাকি করা ঠিক নয়। এর ফলে পরীক্ষক অখুশি হতে পারেন।
৩. প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার আগে প্রশ্নটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তা না হলে অনেক সময় দেখা যায়, প্রশ্নে চাচ্ছে এক; তুমি উত্তর লিখেছ অন্য। একই সঙ্গে উত্তর লেখার আগে দেখে নিতে হবে প্রশ্নের ডান পাশে প্রশ্নটির জন্য কত নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
৪. বানান ভুলের ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকবে। এর কারণে তোমার নম্বর কমে যেতে পারে। নিয়মিত লেখা চর্চার মাধ্যমে বানান ভুল সংশোধন হতে পারে।
৫. যে প্রশ্নটি তোমার সবচেয়ে বেশি কমন সেটির উত্তর আগে লিখতে পার। প্রশ্নের নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে উত্তর লিখতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
৬. বাংলা পরীক্ষায় মোট সময় আড়াই ঘণ্টা। অন্তত ১০ মিনিট আগে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে শেষ করতে হবে। রিভিশনের সময় সব প্রশ্নোত্তর পুনরায় পড়া ভালো। সময় না পেলে প্রত্যেক প্রশ্নের প্রথম অংশ বা যতটুকু সম্ভব পড়তে হবে। তবে কোনো প্রশ্নোত্তর বাদ দেওয়া যাবে না। প্রশ্নপত্রের নম্বরের সঙ্গে উত্তরপত্রের নম্বরের মিল আছে কি-না সেটাও দেখে নেবে।
৭. কোনো কিছু লেখার পরে যদি বুঝতে পার ভুল হয়েছে তবে এক টানে কাটবে। তাহলে বোঝাই যাবে না যে, তোমার খাতায় কাটাকাটি আছে।
৮. অনেকের হাতের লেখা সুন্দর নয়। তবে লেখার সময় যদি খেয়াল থাকে এবং যত্ন থাকে অথবা একটু ধীরে লেখা হয় তাহলে লেখা অসুন্দর হবে না।
অবশ্য সুন্দর দেখানোর চেয়ে বর্ণগুলো স্পষ্ট হওয়া বেশি দরকার।
৯. রচনা লেখার জন্য একটু বেশি সময় বরাদ্দ রাখবে। রচনা কত পৃষ্ঠা লিখবে এটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ একেক জনের হাতের লেখার সাইজ একেক রকমের। তবে মোটামুটি যেটা বলা যায়, ১০ মার্কের রচনার জন্য ৪০ বাক্যের (লাইন নয়) কম না লেখা ভালো।
১০. মূল খাতার পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠা নম্বর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অতিরিক্ত কাগজ নিলে সেখানে অবশ্যই পৃষ্ঠা নম্বর দেবে।


সহকারী অধ্যাপক (বাংলা)
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper