ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

ফাতেমা বেগম
🕐 ৭:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৮

রচনা : প্রিয় মানুষ
সূচনা : মায়ের মতো আপন এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। প্রত্যেক মা তার সন্তানের কাছে শ্রেষ্ঠ মানুষ। মায়ের স্নেহের পরশে মুহূর্তে দূর হয়ে যায় সব দুঃখ- বেদনা। আমার ‘মা’-ও এর থেকে ব্যতিক্রম নন। তাই মা আমার প্রিয় মানুষ।

শৈশব স্মৃতি : মায়ের কারণেই এই পৃথিবীতে আমরা এসেছি। শৈশব থেকে মায়ের স্নেহ-যত্নেই আমরা বেড়ে উঠি। শৈশবে মা আমাকে মুখে মুখে ছড়া শেখাতেন। তার কাছেই আমি প্রথম লেখা শিখেছি। শৈশবকালে মা-ই ছিলেন আমার খেলার সঙ্গী।
গৃহিণীরূপে মা : আমাদের পরিবারের সব কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করেন আমার মা। প্রতিদিন তিনি আমাদের জন্য খাবার তৈরি করেন। তিনি সংসারের সব কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন। তিনি পরিবারের সবার ভালো-মন্দ দেখা শোনা করেন।
মা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখেন। তিনি আমাদের আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদেরও খোঁজখবর রাখেন। আমাদের বাসায় অতিথি এলে তিনি তাদের যথাযথভাবে দেখাশোনা করেন।
দুঃখের সময়ে মা : আনন্দের দিনে মা যেমন আমাদের পাশে থাকেন, একইভাবে দুঃখ-কষ্টের দিনও তিনি আমাদের আগলে রাখেন। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে নিজের কথা ভুলে গিয়ে মা দিন-রাত তার দেখাশোনা করেন। কারও কোনো দুঃসংবাদ বা দুর্ঘটনা ঘটলে মা-ই সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হন।
আনন্দ ও উৎসবে মা : সন্তানের কোনো সাফল্যের সংবাদ জানতে পারলে মা-ই সবচেয়ে বেশি খুশি হন। আমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হলে তিনি আমাকে বিশেষ উপহার দেন। বিভিন্ন উৎসব ও আনন্দ অনুষ্ঠানে মা সবার পছন্দমতো খাবারের আয়োজন করেন।
আমার মা পৃথিবীর সেরা মা।
অবসর সময় : আমার মা সংসারের কাজের ফাঁকে নানা শখের কাজে সময় দেন। সকালে নাশতার পর তিনি পত্রিকা পড়েন। রাতে আমাকে গল্পের বই পড়ে শোনান। তিনি মাঝেমধ্যে টেলিভিশন দেখেন। ছুটির দিনে আমাদের নিয়ে বেড়াতে যান।
উপসংহার : সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা অপরিসীম। মা ছাড়া সন্তান যেন সর্বহারা। মাকে ছাড়া আমি আমার দিনও কল্পনা করতে পারি না। তাই মা আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
প্রশ্ন : সোমপুর মহাবিহারে কী কী নিদর্শন পাওয়া গেছে।
উত্তর : বাংলার অন্যতম পুরাকীর্তি হল সোমপুর মহাবিহার। এটি পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবিস্থত। এটা পাল রাজাদের একটি প্রত্নস্থল। এটি প্রায় ২৪ মিটার উঁচু ও ০.১০ বর্গকিলোমিটার বা ১০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
এটি রাজা ধর্মপালের শাসনামলে (৭৮১-৮২১ খ্রি.) এটি নির্মিত হয়।
নিদর্শন :  বিহারটির চারদিকে ১৭৭টি কুঠুরি রয়েছে। মাঝখানে সুউচ্চ একটি মন্দির রয়েছে। তার চারপাশে রয়েছে অনেক ছোট মন্দির এবং পুকুর।  এছাড়া রন্ধনশালা, ভোজনশালা, পাকা নর্দমা ও চিত্র পাওয়া গেছে। এগুলোর বেশিরভাগ বাংলার জীবজন্তুর মূর্তি।
প্রশ্ন : সোনারগাঁয়ে কোন আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের অন্যতম হল সোনারগাঁ। ঢাকা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরে সোনারগাঁ অবস্থিত।
বর্তমানে এটা নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। মধ্যযুগে মুসলিম শাসন আমলের বেশ কিছুকাল এখানে বাংলা সুলতানদের রাজধানী ছিল।
 

শিক্ষক, বর্ণমালা আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper