ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক বিদ্যুৎ

সম্পাদকীয় ডেস্ক
🕐 ৩:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২২

ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক বিদ্যুৎ

দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবেন- এটা অত্যন্ত আনন্দের খবর। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পটুয়াখালীর পায়রায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক স্থাপনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, এই বিদ্যুতকেন্দ্র উদ্বোধনের দিনটি আলোর পথে যাত্রার সফলতার দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলে রেখে গিয়েছিলেন, আজকে সেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

বর্তমান সরকার প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করার, প্রতিটি মানুষকে আলোকিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নিসন্দেহে এটি আলোর পথে আমাদের যাত্রা। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রম ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে। কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না- এটাই লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে।

দেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সব ক্ষেত্রেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। যে সমস্ত এলাকায় একসময় ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে ফসল নষ্ট হতো, খাদ্যাভাব দেখা দিতো, সে সব এলাকায় পরিস্থিতি অনুকূলে রাখার সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম যেন সুন্দর ও উন্নত জীবন পায়, সে লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের আগে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন নিঃসন্দেহে দেশবাসীর জন্য একটি উপহার। আলোর পথে, উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে দেশের এই উন্নয়নযাত্রা অভূতপূর্ব। ১৯৯৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো ১৬০০ মেগাওয়াট, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে তা দাড়ায় ৪৩০০ মেগাওয়াট। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কি. মি. বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে ১৩ হাজার ৭১৩টি গ্রামে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ এবং আরও ৩৪ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর পরিকল্পনা করা হয়। ৩২ হাজার নতুন সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।

২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ ছিলো ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। গত ১৩ বছরে ৩০ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫৬টি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি হয়েছে। আমদানিসহ মোট ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে এবং ১৪৪টি ছোটবড় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এখন পর্যন্ত দেশে স্থাপিত সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত রামনাবাদ নদের পাশে নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১৩তম আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ। এই কেন্দ্রে জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ক্লিন কোল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা চাই এই দেশ এগিয়ে যাক, সব মানুষের ঘরে পৌঁছে যাক বিদ্যুৎ।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper