ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রশংসনীয় উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন

সম্পাদকীয়
🕐 ১২:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২

প্রশংসনীয় উদ্যোগ সর্বজনীন পেনশন

জীবনের নানা অধ্যায়ে ক্ষেত্রবিশেষে মানুষ অসহায় থাকে। এ সময় তাদের পাশে বরাভয় দিয়ে থাকা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই প্রয়োজনীয় সহায়তাটুকু পান না। সম্প্রতি সরকারের একটি উদ্যোগ নজর কেড়েছে। সব মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্তটি প্রশংসা পেয়েছে সব শ্রেণির মানুষের। গতকাল খোলা বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এ বিষয়ে।

তাতে বলা হয়, দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পেনশন ব্যবস্থাকে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে কাজ চলছে। ধাপে ধাপে এ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও কার্যকর করা হবে। দেশের সব মানুষকে এ সুবিধার আওতায় আনা হলে সবাই এর সুফল পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন সরকারি চাকুরেরা পেনশন পেত। নতুন এ ব্যবস্থা চালু হলে সবাই এর সুবিধা পাবে।

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী কৌশল নিচ্ছে সরকার। অসচ্ছল মানুষদের সচ্ছলতা ও তরুণদের কাজে লাগিয়ে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নতুন শিল্পের বাজার তৈরি, দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির আধুনিকায়ন ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্প্রসারণেও নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণে ‘বেকার ভাতা’ দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করছে সরকার। উন্নত বিশ্বের পথে পা রাখার অংশ হিসেবে সরকার এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইতোমধ্যেই মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতাÑতিনটি সূচকেই যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সামনে এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রধান কাজ অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করা।

প্রতিযোগিতা সমতা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউশন এবং রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশনগুলোকে আরও উন্নত করতে হবে। একইসঙ্গে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন হলে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে মানুষের জীবনমানের ক্রমাগত উন্নতি করা সম্ভব। পেনশন, বেকার ভাতাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রমের সুফল সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সুষম বণ্টন ও সুশাসন নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। গত বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে পেনশন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যদি মাসিক চাঁদা এক হাজার টাকা, মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ ধরা হয়, তাহলে ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা প্রদান শুরু করে এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন। আর যদি ৩০ বছর বয়সে চাঁদা প্রদান শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে, তাহলে অবসরের পর প্রতি মাসে ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা পেনশন পাবেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন মানুষের দুর্দশা মোচন হবে, অন্যদিকে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি পেয়ে এগিয়ে যাবে দেশ।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper