গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা কাম্য
সম্পাদকীয় ডেস্ক
🕐 ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
গণপরিবহনকর্মীদের কাছে বরাবরই জিম্মি যাত্রীরা। এর মধ্যেই আবার এদের হাতে একটি ‘অস্ত্র’ তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে! করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ফের। এর মধ্যে গণপরিবহনে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত আসছে। এর মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগামী শনিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। তবে এবার ট্রেনের সংখ্যা কমবে না। বর্তমানে যত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে, এর সবই চলবে। গত মঙ্গলবার রেলভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ট্রেন ও স্টেশনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ট্রেনে খাবার পরিবেশন, রাতের ঘুমানোর বিছানা দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনের টিকিট অনলাইন ও কাউন্টারÑ দুই জায়গায় সমানভাবে বিক্রি করা হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে (অ্যাপ/অনলাইন)। আর বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ওই বছরের জুলাই থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চালানো হয়। তখন অল্প কিছু আন্তনগর ট্রেন চালু রাখা হয়েছিল।
বর্তমানে রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেন আছে ৩৫৫টি। এর মধ্যে আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা ১০৮টি। বাকিগুলো মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন। তবে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন-কোচ সংকটের কারণে কিছু মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন বন্ধ রয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এটাসহ মোট ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। এই বিধিনিষেধ চলাকালীন গণপরিবহনে ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। গত মঙ্গলবার সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ বলেন, প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করার নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, সবকিছু খোলা রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ঘোষণা নতুন জটিলতা সৃষ্টি করবে। বিগত সময় অর্ধেক যাত্রী বহন করার কথা বলা হলেও তা কোথাও পালন করা হয়নি। বরং যাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরাও মনে করি, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যাত্রী সুরক্ষার নামে বর্ধিত ভাড়ার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত হবে না। পরে দেখা যাবে, ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে ঠিকই, নির্দেশনার কিছুই মানা হচ্ছে না! অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেই প্রত্যাশা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228