ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ‘টেলিরোব’

উপযুক্ত ব্যবহার হোক

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৮

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে সর্বক্ষেত্রেই গুণগত মান বজায় রেখে আমরা যাপিত জীবনে উৎকণ্ঠামুক্ত জীবন কাটাতে সক্ষম হচ্ছি। যার ছোঁয়া লেগেছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়টি আমাদের সামনে চলে আসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা খুবই ইতিবাচক দিক। পত্রিকায় প্রকাশ, সন্দেহভাজন স্থানে ঝুঁকি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আর বোমা খুঁজে বের করতে হবে না। এ জন্য দুই কিলোমিটার দূর থেকেই রিমোটের মাধ্যমে বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে প্রথমবারের মতো নিয়ে আসা হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ‘টেলিরোব’। প্রায় সাত কোটি টাকা দিয়ে রোবটের মতো কাজ করতে পারা এমন দুটি যন্ত্র জার্মানী থেকে কিনেছে পুলিশ বিভাগ।

গত শনিবার প্রথমবারের মতো এর একটি নিয়ে মিরপুর ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের খেলা ঘিরে মহড়ায় নামায় পুলিশ। এটিকে বলা হয়ে থাকে রিমোর্টলি অপারেটেড ভেহিক্যাল বা আরওভি। দুই কিলোমিটার দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে টেলিরোবকে পরিচালনা করা সম্ভব। এর চাকা চারটি। ঘণ্টায় গতি ছয় কিলোমিটার। দেখতে অনেকটা ট্যাঙ্কের বেল্টের মতো। সংযুক্ত রয়েছে আটটি বিশেষ ক্যামেরা। যে কোনো পরিস্থিতি বা জিম্মি সংকটকালে টেলিরোবের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সংকট মোকাবেলায় কথা চালাচালি করা সম্ভব। সন্ত্রাসীদের ছবি তুলে আনার পাশাপাশি তাদের শরীর স্ক্যান করা যায়। চাইলে এতে অস্ত্র সংযোজনও করা সম্ভব।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক সিরিজে খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তায় মাঠে একাধিক শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত নাশকতা দমনে বোমা নিষ্ক্রিয়করণে টেলিরোব কাজ করবে। বহুতল ভবনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে যেতে পারবে টেলিরোব। প্রয়োজনে যে কোনো যানবাহনে উঠে ভেঙে ফেলতে পারবে গাড়ির দরজা। সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি ওজনের বোমা বা বোমাসদৃশ বস্তু বহন করতে পারে টেলিরোব। এ ছাড়া কোনো বাক্স বা বিশেষ প্যাকেটের ভেতরে বোমা থাকলে ওই বস্তুর মুখ নিজেই খুলতে পারবে। কেউ ওকে আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করতে পারবে। দেড় যুগের মতো সময় টেলিরোবের কাছ থেকে অপারেশন সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব। প্রতিটি টেলিরোবের ওজন ৭০ কেজি। বোমা নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি বোমা শনাক্ত করাই এর মূল কাজ।

নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সর্বশেষ প্রযুক্তি আমাদের অনেকটাই নির্ভার করে। আমরা প্রত্যাশা করি, আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং অতীতের মতো কখনো যেন নিরাপত্তা বলয়ের ফাঁক গলিয়ে এ প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কোনো দুর্বলতা ফুটে না ওঠে সেটি নিশ্চিত করবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper