অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ক্ষতি
কঠোর পদক্ষেপ নিন
সম্পাদকীয়
🕐 ১:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৮
মানুষ অসুস্থ হলে নিরাময়ের আশায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করে থাকে। জীবন বাঁচানোর জন্য ওষুধ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হলেও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগ এবং কিছু মুনাফালোভী চিকিৎসকের কারণে ওষুধই জীবনের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনে।
পত্রিকায় প্রকাশ, অ্যান্টিবায়োটিক মূলত এমন একটি ওষুধ যা শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। কিন্তু বর্তমানে ভাইরাসঘটিত অসুখেও এর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে, যার ফলে আমাদের দেহের যে উপকারী ব্যাকেটেরিয়া আছে সেগুলো মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেদের বদলে ফেলে হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে আমাদের দেহ তখন হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক বিরোধী। যার ফলে পরবর্তী সময়ে ব্যাকেটেরিয়াজনিত কোনো রোগে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না, যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
জানা গেছে, ভাইরাসজনিত সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ার চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। কারণ অ্যান্টিবায়োটিকে ভাইরাস ধ্বংস হয় না। অথচ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে গ্রামে ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের অযৌক্তিক ব্যবহার চলছে। গ্রাম এলাকায় সাধারণ মানুষ জ্বর, কাশি বা মাথাব্যথা নিয়ে এলাকার ফার্মেসিতে গেলে ফার্মেসিতে যারা ওষুধ বিক্রি করছেন তারা অন্য ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকও দিচ্ছেন অথচ তারা জানেন না যে অ্যান্টিবায়োটিক কখন খেতে হবে বা কখন খাওয়া যাবে না। তারা জানেন যে অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতিকর কিন্তু এটি যে মাঝে মধ্যে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সে সম্পর্কেও তাদের ধারণা কম।
অতীতের ধারাবাহিকতায় আমরা দেখছি, মানুষের অসচেনতার সুযোগে অ্যান্টিবায়োটিকের এ রকম ব্যবসা এখনো জমজমাট রয়েছে। আমাদের অনতিবিলম্বে এ ধরনের আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228