ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আমন ধানে সম্ভাবনা অটুট থাকুক

সম্পাদকীয় ডেস্ক
🕐 ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২১

আমন ধানে সম্ভাবনা অটুট থাকুক

বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত। এজন্য ভাতে-মাছে বাঙালি প্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে-মধ্যে চাষাবাদে ব্যাঘাত ঘটলে বিরূপ প্রভাব দেখা দেয় জনজীবনে। চলতি বছর আমন ধান বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানো আমন ধান রয়েছে পোকার শঙ্কায়। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দিশাহারা কৃষকরা। কীটনাশক দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেড়েছে পোকার উপদ্রব, তবে খুব একটা ফলনের পার্থক্য হবে না বলে মনে করছেন কৃষি অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা। তারা কৃষকদের ফসলের উপকারী ও অপকারী পোকা চেনা উপায়, অধিক কীটনাশক ব্যবহার না করাসহ আধুনিক চাষাবাদ ও জৈব পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলার ছয়টি উপজেলায় ৮৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে ৭৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল উফশী, আট হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের রোপা আমন। তবে চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৩৮৮ হেক্টর জমিতে উফশী, ১০ হাজার ৪৭৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ১ হাজার ৩৩ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে স্থানীয় রোপা আমনের আবাদ। দেখা গেছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উফশী ধানের চাষ কম হলেও বেড়েছে অন্য জাতের ধানের আবাদ। এর মধ্যে ধান গবেষণা উদ্ভাবিত ও বিনা উদ্ভাবিত ৩৪ জাতের উফশী, ১২ জাতের হাইব্রিড ও ২টি স্থানীয় জাতের ধান চাষ করেছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান মতে, এ বছর জেলায় চার লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন রোপা আমন উৎপাদিত হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে পাওয়া যাবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ৩১৬ মেট্রিক টন চাল। আবার, রোপা আমনে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হলেও উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এবার জেলাজুড়ে দেখা গেছে মাজরা বা কারেন্ট পোকার উপদ্রব। কৃষকরা কীটনাশক দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া মাঠের প্রায় অধিকাংশ জমিতে দেখা গেছে পোকার উপদ্রব। এলাকার কৃষক দুলাল আলী বলেন, ‘রোপা আমন ধান বেশ ভালো হয়েছে। তবে মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে খুব। কীটনাশক দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’

কুষ্টিয়ার আরেকজন কৃষক বলেন, কয়েকদিন আগেও ধানের জমিতে গেলে মন ভরে যেত। বেশ ভালো ফলন পাব বলে আশা করেছিলাম। তবে এবার পোকার কারণে ফলন কম হতে পারে। ভেড়ামারা উপজেলার ঠাকুর দৌলতপুর এলাকার জনৈক কৃষক বলেন, আগের বছরের তুলনায় এবার মাজরা পোকার আক্রমণ বেশি। তবে খুব একটা ফলনের পার্থক্য হবে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আধুনিক চাষাবাদের পদ্ধতি বাতলাচ্ছেন কৃষকদের। আমনে আশঙ্কা দূর করতে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper