ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জাতিসংঘে ইতিবাচক বাংলাদেশ, অব্যাহত থাকুক অগ্রযাত্রা

সম্পাদকীয় ডেস্ক
🕐 ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

জাতিসংঘে ইতিবাচক বাংলাদেশ, অব্যাহত থাকুক অগ্রযাত্রা

জাতিসংঘে আলোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম। ইতিবাচক পরিস্থিতি ও অগ্রগতির কারণে প্রশংসার দাবিদার বর্তমান সরকারও। এ বিষয়ে গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতেও উন্নয়নের মহাসড়কে দুরন্তগতিতে ছুটে চলেছে বাংলাদেশ। দেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও মানবিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানসহ নানা মানবিকতার জন্য প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া চলমান করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের ‘অভাবনীয়’ সাফল্যের প্রশংসা করেছেন আন্তোনিও গুতেরেস। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে গুতেরেসের সঙ্গে শেখ হাসিনার এই বৈঠক হয়। হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) বাংলাদেশের প্রশংসা করেন, বিভিন্ন দিক থেকে উন্নয়নের জন্যে, মানবিকতার জন্য খুব প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে বললেন যে ‘ওয়েলকাম টু ইওর হোম’। কারণ জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ খুব বেশিই সম্পৃক্ত। কারণ আমরা জাতিসংঘের একটি বড় গর্বের বিষয়। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি ‘সাফল্যের গল্প।’ বাংলাদেশের এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘এই সাফল্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘শীর্ষে’ রয়েছে। পাশাপাশি ইউএনডিপির যত প্রকল্প বাংলাদেশে নেওয়া হয়েছে, তার সবই সম্পন্ন হয়েছে। ইউএনডিপি আমাদের সাহায্য করেছে, কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পথ দেখিয়েছি, কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হয়। এগুলো শেখ হাসিনার উদ্ভাবন। জাতিসংঘ আমাদের সহায়তা করেছে এবং এ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘও গর্বিত হয়েছে যে, ভালো কাজে তারা সম্পৃক্ত হয়েছে। আর জাতিসংঘ মনে করছে যে, একটা দারিদ্র্যক্লিষ্ট বাংলাদেশ এখন একটা চাঙ্গা অর্থনীতি। এসব কারণে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে ‘সম্মান করে’।

জাতিসংঘের বহু অর্জনের পেছনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব রয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘আমরা আপনাদের একটা বড় হাতিয়ার। কিন্তু আপনাদের বিভিন্ন উঁচু পদে আমাদের বাংলাদেশের লোক নেই। সে সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে বললেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।’

জাতিসংঘে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ব্রিফিংয়ে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, যে সমস্ত বিষয়ে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারের কথা বলে, আমরাও সেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিই। সেটা জলবায়ু হোক, কিংবা অর্থায়ন বা এসডিজি বাস্তবায়ন।’ একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নিউয়েন হুয়ান ফুকের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সে লক্ষ্যে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper