ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ত্যাগের মানসিকতা সৃষ্টি জরুরি

সম্পাদকীয়
🕐 ১:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২১

ত্যাগের মানসিকতা সৃষ্টি জরুরি

ধর্মীয় বিধানমতে, পবিত্র ঈদুল আজহা ত্যাগের দিকেই আহ্বান করে মানুষকে। পারস্পরিক সম্পর্ক, সামাজিক বন্ধন, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতা চর্চার শিক্ষা থেকেই এই ঈদ। এর সফল প্রতিফলন ঘটাতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে অনেকটাই। গতবছরের ঈদুল আজহা ছিল অনেকটাই নিরানন্দ। প্রায় একই অবস্থা এবারও। বাঙালি জীবনে ঈদ কারও কল্পনাতেই ছিল না। পুরো বিশ্বেই জেরবার করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে। সব মিলিয়ে পার করতে হচ্ছে কঠিন সময়। চাকরি, ব্যবসা, রেমিটেন্স সব দিকেই অশনিসঙ্কেত। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা! ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাট। যারা এখনো পশু কেনেননি তারাও কিনে ফেলবেন কম সময়ের মধ্যে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, করোনার বিস্তার ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অল্প ক’দিন পরেই কঠোর লকডাউনের ভয় উপেক্ষা করেই অনেকে ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। স্বজন সান্নিধ্যে ঈদ রাঙিয়ে তুলবেন বলে। তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে এবারও।

বেশিরভাগ পরিবহনে সব আসন ভর্তি করে যাত্রী তোলার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে। এমন নৈরাজ্য বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গত শনিবার এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ দাবি জানানো হয়। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া গণপরিবহনে যাত্রীদের যাতায়াত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার মানুষের জীবন-জীবিকা ও ঈদে অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের শর্তে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায় সাপেক্ষে সব শ্রেণির গণপরিবহন চালু করেছে। এতে যাত্রী, চালক, কন্ডাক্টর ও সহকারী সবার বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার কথা ছিল। অর্ধেক আসনে যাত্রী নেওয়া ও জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিবহন জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলার গণপরিবহন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এসব শর্তের মধ্যে শুধু মাস্ক পরিধানের বিষয়টি অধিকাংশ পরিবহনে অনুসরণ করলেও অন্যান্য শর্ত মানা হচ্ছে না।

বেশিরভাগ পরিবহনে আসন ভর্তি করে যাত্রী তোলার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে। সরকার গণপরিবহনে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিলেও কোনো কোনো পরিবহনে ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নৌপথের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ ও স্টিমারের পাশাপাশি খেয়াঘাটগুলোতে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীপ্রতি ২ টাকা ভাড়া আদায়ের স্থলে কোনো কোনো খেয়াঘাটে ১০ টাকা, কোথাও ২০-৫০ টাকা পর্যন্তও আদায় করা হচ্ছে! স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবার যাতায়াত করা উচিত। তাহলে আনন্দ ব্যথায় পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা কমবে। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হোক ঈদুল আজহা। ঈদ মোবারক!

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper