ঈদযাত্রায় প্রাণহানি কাম্য নয়
সম্পাদকীয়
🕐 ২:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২১
সরকারি-বেসরকারি নানা রকম বিধি-নিষেধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষা কোনোকিছুরই তোয়াক্কা না করে মানুষ ফিরছে। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবারে সড়কে, নৌপথে ব্যাপক জট প্রমাণ করেছে মানুষ এখনো সচেতন হয়ে উঠতে পারেনি। করোনার ‘ভয়’ নিতে পারেনি মনে! বছরের অন্য সময় এবং স্বাভাবিক সময়ের ঈদযাত্রার মতো এবারও প্রাণহানি হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে আরও আশঙ্কার। গতকাল খোলা কাগজ অনলাইন ভার্সনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব চিত্র। নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যান ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পাঁচদোনা টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাটপাড়া টাকশাল মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচদোনা থেকে একটি কাভার্ডভ্যান টঙ্গীর দিকে যাচ্ছিল। কাভার্ডভ্যানটি পাঁচদোনা টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাটপাড়া টাকশাল মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক ঘোড়াশাল থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় লেগুনার সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত হন আরও পাঁচজন। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাঁচদোনা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউসুফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে হতাহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। বিধিনিষেধ শিথিলের পর দ্বিতীয় দিন গতকাল সকাল হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়েছে। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে যোগে পদ্মা পারাপার করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে থেমে থেমে বেড়েছে চাপ। গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়া ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হয়েছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনে আসা যাত্রীদেরও নদীর পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি ছিল তুলনামূলক কম। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদীবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাক পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা মনে করি, প্রত্যেকেরই উচিত নিজের ও পরিবারের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এমন হুড়োহুড়িতে ঝরে যাক কোনো প্রাণহানি কাম্য নয় তাও।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228