ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ

অচলায়তন কাম্য নয়

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০১৮

আবারও ধর্মঘটে নেমেছিল পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা নেমে আসায় হুট করে বেড়ে যায় দ্রব্যমূল্য। তাদের এ অযৌক্তিক ধর্মঘট মোটেও সমর্থনযোগ্য ছিল না, কিন্তু সরকারের শেষ মুহূর্তে তারা সরকারকে চাপে ফেলে তাদের অন্যায় করার শাস্তি থেকে নিজেদের বাঁচাতে উঠেপড়ে লাগার চেষ্টা করে।

সংসদে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আইন পাসের পরই তারা রাস্তায় নেমে এসে পণ্য পরিবহনে বাধা দিচ্ছিল। পত্রিকায় প্রকাশ, গত রোববার সকাল থেকে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ঢাকা বিভাগে পণ্যবাহী যানবাহনের ধর্মঘট পালন করে। বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ আইন শিথিল করতে তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়। সেই সঙ্গে সাত দফা দাবি পূরণের নিশ্চয়তাও তারা চায়। এ আন্দোলনে ছিল শ্রমিক নেতা ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সমর্থক এবং বিপক্ষের শ্রমিকরাও। দুই ভাগে বিভক্ত এ শ্রমিকরা আইন সংস্কার দাবিতে রাস্তায় নামে। দাবি পূরণে তারা আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেয়।

ধর্মঘট পালনকারী শ্রমিকরা বিচ্ছিন্নভাবে যেসব ট্রাক চলাচল করছিল সেগুলোর চালকদের নিরস্ত করে আন্দোলনে যোগ দিতে চাপ সৃষ্টি করে। তারা  চলাচলকারী ট্রাকের লাইসেন্স চেক করে। যেসব চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই কিংবা অন্য কোনো ত্রুটি আছে বেছে বেছে তাদের মুখে পোড়া মবিল মাখিয়ে দেওয়াসহ নানাভাবে হেনস্তা করে। এরকম অরাজকতা কোনো সভ্য দেশে কাম্য না। গণতন্ত্রের সুবাদে এরকম অবাধ স্বাধীনতা পেয়ে যে কেউ নিজেদের অন্যায় স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনগণকে জিম্মি করবে, এ অবস্থার অবসান দরকার।

আমরা নিকট অতীতেও দেখেছি পরিবহন শ্রমিকরা কীভাবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ধর্মঘট ডেকে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করেছিল। আমরা দেশে এরূপ অরাজকতা চাই না। যারা অন্যায় করবে, তাদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এবং যারা নিরপরাধ তাদের অবশ্যই কোনো ক্ষতি হবে না। আমরা এমন ন্যায়বিচারের উদাহরণই সবসময় দেখতে চাই। সেখানে আইন না মানার জন্য আন্দোলন করা রীতিমতো রাষ্ট্রের প্রতি ঔদ্ধত্য দেখানো হিসেবেই গণ্য করা যায়।

আমরা আশা করব, দেশের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সরকার ও পরিবহন শ্রমিকরা আলোচনায় বসে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন এবং ধর্মঘটের মাধ্যমে দুর্ভোগ তৈরি না করে বরং নিরাপদ সড়কের জন্য উদ্যোগী হবেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা এমনটিই প্রত্যাশাই করি। 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper