ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্বাস্থ্যবিধি মানা হোক শপিং মলে

সম্পাদকীয়
🕐 ১২:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২১

স্বাস্থ্যবিধি মানা হোক শপিং মলে

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে অবশেষে দোকানপাট ও শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সকাল থেকে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে বেচাবিক্রি। কেনাকাটা ও বেচাবিক্রির এ সময় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। এরপর আবারও সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে। তবে গত কয়েক দিনের লকডাউনের মধ্যে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পর এমন সিদ্ধান্তে খুশি ব্যবসায়ীরা। যদিও সময় আরেকটু বাড়ানো হলে ভালো হতো বলে জানান তারা। কারণ অধিকাংশ চাকরিজীবী অফিস শেষে শপিংয়ে আসেন। সময়টা তাই সকালে কমিয়ে রাতের দিকে বাড়ানোর দাবি জানান কেউ কেউ। এদিকে দোকান, বিপণিবিতান খোলার অনুমতি মিললেও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন না করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে। উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামের স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, (গতকাল) শুক্রবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে। এছাড়া করোনার টিকা কার্যক্রমও যথারীতি চলবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। আগামী ১৪ এপ্রিল বুধবার বাংলা নববর্ষ। তাই পহেলা বৈশাখের জন্য ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপরে খোলা থাকবে কিনা সে বিষয়ে এই প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। এ সময়ে শিল্পকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দোকানপাট, গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। যদিও বুধবার থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনে গণপরিবহন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে পোশাকের ব্যবসা চাঙ্গা হয়। সারা বছরের প্রায় অর্ধেক বিক্রি এই দুই উৎসবে হয়। দোকানপাট বন্ধ থাকায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় গত রোববার থেকে ঢাকার নিউমার্কেট, গাউসিয়া, মিরপুর, গুলিস্তানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভে নামেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খোলা রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

গত সোমবার থেকে সারা দেশে লকডাউন দেওয়া হলে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের আগের দিন রোববার রাজধানীর নিউমার্কেট, মালিবাগ, টঙ্গীতে ব্যপক বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন তারা। এরপর প্রায় প্রতিদিনই সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ-ব্যবসায়ীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। সে সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে আসছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সময়ের জন্য দোকানপাট, শপিংমল খুলে দেওয়ার। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয় সরকার। তবে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের উচিত এ ছাড়ের ‘মূল্য’ বুঝে সঠিক আচরণ করা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খোলা রাখতে হবে দোকানপাট ও শপিং মলগুলো। কারও খামখেয়ালী কিংবা ইচ্ছা-অনিচ্ছার জের যেন বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত না করে সেদিকেও রাখতে হবে সতর্ক নজর।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper