ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করুন

সম্পাদকীয়
🕐 ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১

কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করুন

কৃষকরাই এ ব-দ্বীপের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদার জোগান দিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে তাদের জীবন চেরাগের নিচের অংশে অন্ধকারের মতো। তবুও তারা অকৃত্রিম বন্ধুর মতো ফসল ফলিয়ে যান। প্রতিদানস্বরূপ তেমন কিছু পান না বললেই চলে! গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে কৃষিঋণ বিতরণ বাড়ানো হয়েছিল। এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত-বেসরকারি ব্যাংক নির্বিশেষে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে কৃষিঋণ বিতরণে বাধ্য করা হয়েছিল। যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে শাখা নেই প্রয়োজনে বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার মাধ্যমে ঋণ বিতরণে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য সুদ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু কৃষকের কাছে টাকা পৌঁছানোর শর্তে বেশি সুদের কৃষিঋণ প্রচলন করা হয়েছিল এবং ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার কথা ছিল।

অন্যদিকে ১০ বছরে বাড়তি সুদের কৃষিঋণ কমানো তো সম্ভব হয়নি বরং আরও বেড়ে গেছে। ফলে ১৮ থেকে ২২ শতাংশ সুদ হারে ঋণ নিতে হচ্ছে গ্রামের পল্লী গরিব কৃষককে। কৃষক সর্বনিম্ন সুদ হারে ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এ হার নামিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যান্য ঋণের সুদ হার ১২ থেকে ব্যাংক ও ঋণের ধরন ভেদে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছিল। এ হার ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কার্যকর ছিল। আর আগে থেকে কৃষি ঋণের সুদ হার কম হওয়ার কারণে আগের হার বহাল রাখা হয়েছে। ২০১০ সালে কৃষিঋণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

মূলত সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচিকে চাঙ্গা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বেসরকারি নির্বিশেষে প্রতিটি ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের ২ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ নির্দেশনা জারি করে। যে সব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই সে সব ব্যাংককে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এমআরআই) নিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার মাধ্যমে বিতরণে অনুমতি দেওয়া হয় এবং সুদ হার বেঁধে দেওয়া হয় ২২ থেকে ২৭ শতাংশ। এমএফআইগুলো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কৃষকের মাঝে বিতরণ করবে এবং অপারেটিং চার্জ রেখে তারা এ ঋণ বিতরণ করবে। শুরুতে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ ছিল মোট কৃষি ঋণের এক-তৃতীয়াংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ক্রমান্বয়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিজস্ব চ্যানেলে কৃষিঋণ বিতরণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণী সংস্থার মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ কমিয়ে আনা হবে। কিন্তু সময় গড়িয়েছে সেই সঙ্গে মোট কৃষিঋণ বেড়েছে, বেড়েছে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণী সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ। কৃষকের ঘাড়ে বাড়তি সুদ হার যুক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, যে সব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে শাখা নেই তারা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করত। এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। একটু সুদ হার বেশি হলেও তারা ঋণ পাচ্ছেন। আমরা মনে করি, কৃষিঋণ শুধু বাড়ালেই হবে না, তা কৃষকের হাতে সহজভাবে পৌঁছানোও গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্টরা যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন বলেই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper