ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গম উৎপাদনে সাফল্য বজায় থাকুক

সম্পাদকীয়
🕐 ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১

গম উৎপাদনে সাফল্য বজায় থাকুক

ভাতের বিকল্প হিসেবে খুব সহজেই চালিয়ে দেওয়া যায় গম ও গমজাত খাদ্যকে। দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে গমের উপস্থিতি মানে সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তাও। অন্যদিকে চালের ওপরও চাপ কমে এতে। দেশে এবার গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। করোনাকালীন দুর্যোগেও থেমে নেই কৃষকের চাষাবাদ। এবার ধানের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষেও মনোযোগ দিয়েছেন। তাই গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে গমের চাষও বেশি হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকের ঠোঁটে ফুটেছে হাসি। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য। তাতে আরও বলা হয়, ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ কম এবং ফসল উৎপাদন কাজে কৃষকের শ্রমও কম।

প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৮ মণ গম ঘরে তোলেন কৃষকরা। বাজারে গমের চাহিদার সঙ্গে মূল্যও দিন দিন বাড়ছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছরে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে চলতি মৌসুমে ১৩টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হচ্ছে। এবার সারা দেশেই ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গম চাষে আগ্রহী করেছে কৃষককে।

সারা দেশে এবার সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর জমিতে গম চাষ হচ্ছে। ভালো দাম ও ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী এখন গম বীজ সরবরাহ করা গেলেই আগামী ২/১ বছরেই দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ গম উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উদ্ভাবিত নতুন জাতের বারি গম-৩৩, ডব্লিউএমআরআই-২ ও ৩ সারা দেশে গম উৎপাদন বৃদ্ধিতে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে গমের ফলন পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুরের (বিডব্লিউএমআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন জানান, সারা দেশে এবার বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট গমের ফলন ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে ২৩০৫ জন কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী খামার করতে ৪৩ টন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।

বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন স্থানের পরিত্যক্ত জমি লিজ দেওয়ার জন্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জমি পেলে বিডব্লিউএমআরআই প্রতিষ্ঠানটি সারা দেশের কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গম বীজ সরবরাহ করতে পারবে। আর এটা সম্ভব হলে ২/১ বছরেই দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ গম উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। গম উৎপাদনের এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে আরও আন্তরিক হবে বলেই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper