ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভবন নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরুক

সম্পাদকীয়
🕐 ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১

ভবন নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরুক

বাসভবন যেহেতু স্থায়ী একটি বিষয়, নিরাপত্তাসহ অনেক বিষয়ই এখানে জড়িত সুতরাং এর নির্মাণ প্রক্রিয়া যথাযথ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। নিয়ম না মেনেই রাজধানীর ৯৬ ভাগ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে- এমন ভয়ঙ্কর তথ্যও উঠে আসছে। অবৈধ ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জড়িত। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। এমন তথ্য জানিয়েছেন খোদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। গত শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক ‘নগর সংলাপে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব চিত্র।

মন্ত্রী বলেন, অবৈধ ভবন নির্মাণের পেছনে মানুষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জড়িত। তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। দায়িত্ব যতটুকু তার চেয়ে দ্বিগুণ দায়িত্ব দিলে কাজের অনিয়ম হতে পারে। কোনো এজেন্ডাকে সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না। এছাড়া ভবন নির্মাণে তদারকি, লোকবলের সংকট ও জবাবদিহিতা না থাকাও অবৈধভাবে এসব ভবন নির্মাণ হওয়ার অন্যতম কারণ। এ সংলাপের আয়োজন করে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ (ইউডিজেএফবি)। সংলাপ বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভেনিস, সিঙ্গাপুর অথবা সান্তোসা বেড়াতে যাই। এমন একটি শহর গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত করতে হাতিরঝিল থেকে বনানী পর্যন্ত এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল পর্যন্ত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এ উদ্যোগ বাস্তবে রূপ দিতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এ উদ্যোগের সঙ্গে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা শহরে যতগুলো খাল আছে তাতে একটি হাতিরঝিল নয়, এরকম অনেক হাতিরঝিল নির্মাণ করা সম্ভব। ডেমোগ্রাফিক সাইজ অর্থাৎ শহরে কত মানুষ বসবাস করবে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে। পূর্বাচল ১০ লাখ মানুষের বসবাসের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে যদি ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করে তাহলে তা আর বাসযোগ্য থাকবে না। খালের দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ইতোমধ্যে উচ্ছেদ কাজ আরম্ভ করেছেন।

ঢাকা নগরীর অন্যতম সমস্যা বর্জ্য। এটি সমাধান করার জন্য মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিকে অনুমোদন দিয়েছেন। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। এটি চালু হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসবে। ভবন নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরলে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনিতেই। সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ এগিয়ে নেবেন বলেই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper