ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পদ্মা সেতু হোক গৌরবের সোপান

সম্পাদকীয়
🕐 ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০

পদ্মা সেতুকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র, কুৎসা রটানো হয়েছে। কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা চলছে সংশ্লিষ্টদের। অবশেষে সব চক্রান্তের জাল ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নেই কাজ শুরু হয় পদ্মা সেতুর। এ বিষয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে খোলা কাগজে। প্রমত্তা পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের সেতু। এ সেতুতে বসানো হলো ৩৯তম স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ৮৫০ মিটার। আর মাত্র দুটি স্প্যান বসালেই (৩০০ মিটার) দেখা যাবে ছয় হাজার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সম্পূর্ণ পদ্মা সেতু। আগামী বছর এ সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগিয়ে চলেছে। এদিকে সেতুর কাজ যত এগুচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের উচ্ছ্বাস ততই বাড়ছে।

গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর ‘টু-ডি’ স্প্যানটি বসানো হয়। ৩৮তম স্প্যান বসানোর ছয় দিনের মাথায় এটি বসানো হলো। গত মাসেও লক্ষ্য অনুযায়ী চারটি স্প্যান বসানো হয়েছে সেতুতে। আর ৩৯তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে এ মাসে চারটি স্প্যান বসানোর লক্ষ্যও সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিটের দিকে মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর আগে, সকাল ৯টার দিকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটিকে বহন করে রওনা দেয়। এরপর দূরত্ব অতিক্রম সেখান থেকে নির্ধারিত পিলারের কাছে এসে পৌঁছায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি পৌঁছে নোঙর করার কাজ শুরু করে। ছয়টি কেবলের (তার) মাধ্যমে মূল নদীতে নোঙর সম্পন্ন করে পজিশনিং করার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এরপর স্প্যানটিকে ধীরে ধীরে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। তারপর রাখা হয় দুটি পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ৮৫০ মিটার। সেতু যতই এগোচ্ছে পদ্মাপারের মানুষদের মাঝেও বইছে আনন্দের জোয়ার। সেতুর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের আশপাশে চলাচলকারী নৌযানগুলো যাতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। দুটি বোট সারাক্ষণ সেখানে অবস্থান করে নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে নৌযান চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেয়।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। প্রথম স্প্যান থেকে শুরু করে আজ ৩৯তম স্প্যান বসানো পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময় ছিল তিন বছর এক মাস ২৮ দিন। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) বসানোর পরিকল্পনা আছে প্রকৌশলীদের। চলতি বছরের বিজয় দিবসের আগেই মাওয়া প্রান্তে ৪১তম স্প্যানটি বসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ যে দুর্দমনীয়, চাইলেই সব পারে তার বড় দৃষ্টান্ত পদ্মা সেতু। এ সেতু আমাদের গর্ব ও অহংকারের সোপান হয়ে উঠুক।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper