ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

করোনার থাবা : বয়স্কদের সুরক্ষা দিন

সম্পাদকীয়
🕐 ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

করোনার প্রকোপ বাড়ছে আবার। বিধ্বস্ত জনজীবন আরও টালমাটাল হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যেই সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে খোলা কাগজে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মৃতদের বেশিরভাগই পঞ্চাশোর্ধ্ব। যাদের দীর্ঘমেয়াদি (ডায়াবেটিস, হার্ট-কিডনির সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা) একাধিক রোগেও আক্রান্ত। তাই বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে’— এমন মানুষের বেলায় বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন— প্রথমত, খেয়াল রাখতে হবে তারা যাতে আক্রান্ত না হন। দ্বিতীয়ত, লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে বা আক্রান্ত হলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। বাসার বয়স্কদের বেলায় বিশেষ সচেতন ও একটু বিশেষ যত্ন নিলে কমে আসবে করোনায় মৃত্যুর হার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স্কদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোনো অবস্থাতেই বাসার বাইরে বের হতে না দেওয়া। বাজার বা অন্যান্য কাজে তাদের বাইরে না পাঠানো। বাসার অন্য যারা কর্মক্ষেত্রে বা অন্য প্রয়োজনে বাইরে যাবেন, তারা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে যাবেন। মাস্ক পরবেন। বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালো করে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর তাদের কাছে যাবেন। বাসার তরুণ-তরুণীরাই বয়স্কদের বেশি ঝুঁকিতে ফেলছেন। অনেকেই বিনা কারণে বাইরে যাচ্ছেন। মাস্ক পরছেন না। হাতও ঠিকভাবে ধুচ্ছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তারা অনেকেই বাইরে থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় আমলে নিচ্ছেন না। তিনি এমনি এমনিই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার দ্বারাই মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছেন তার পরিবারের বয়স্ক বা অন্য সদস্যরা। লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়ায় অজান্তেই তার থেকে ভাইরাস যাচ্ছে পরিবারের অন্যদের শরীরে।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, বয়স্ক; আবার তিনি একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগেও আক্রান্তÑ যেটাকে কোমরবিটি বলা হয়। এদের জন্য করোনায় মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এরা আক্রান্ত হলে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে তাদের বাসায় না রেখে চিকিৎসা না দিয়ে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সব চেয়ে ভালো হয় তাদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করা। তারা যাতে আক্রান্ত না হন, বাসা বা বাড়ির অন্যদের সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা; সচেতন থাকা। দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা বয়স্করা যত কম আক্রান্ত হবেন, মৃত্যুর হারও তুলনামূলক ততটা কম হবে বলে জানান তিনি।

যারা এখন মারা যাচ্ছেন, তারা সম্প্রতি আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন এমন নয়। হয়তো তাদের পরিবার হাসপাতালে নিতে দেরি করে ফেলেছে। শুরুতে নিতে পারলে ভালো ফল আসত। এমন সময় হয়তো হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে— যে তখন তার মাল্টি অরগান ধরে ফেলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়— আগে না নিয়ে এমন সময়ে হাসপাতালে নেন, তখন আর কিছু করার থাকে না। পরিবারের বয়স্কদের সুরক্ষার জন্য একটু বেশি সতর্কতা জরুরি। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন, নিজেকে নিরাপদ থেকে পরিবারকেও ঝুঁকিমুক্ত রাখবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper