ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাস্কের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

সম্পাদকীয়
🕐 ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২০

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সব সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়েছে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ পলিসি। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না পরলে জরিমানাও করা হচ্ছে। এতে বাজারে মাস্কের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়ে গেছে। এ সুযোগে সব ধরনের মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ দোকানে বেশি দামে মাস্ক বিক্রির অভিযোগ জানা যাচ্ছে।

সার্জিক্যাল মাস্ক ও সাধারণ মাস্কের দাম বক্সপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। অথচ কয়দিন আগেও ১০ টাকায় পাওয়া গেছে ৩টি মাস্ক। আগে ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাপড়ের মাস্কের দামও এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কেএন-৯৫ মাস্কের দাম ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এন-৯৫ মাস্কের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শীত বাড়লে মাস্কের দাম আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। তারা বলছেন, শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়বে- এটা ধরে রেখে পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বড় ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া এত দিন বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন করে মাস্ক তৈরি এবং আমদানিতে যুক্তরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসছে শীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার সতর্ক করেছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত। তবে জনগণকে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্য নির্দেশনায়ও বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। কোনো জায়গায় কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কোথাও যাত্রাকালে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে হবে। বাস টার্মিনাল ও স্টেশনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। গণপরিবহনের গাড়িতে কেউ দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এসব গাড়িতে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আসন খালি রাখতে হবে। কেবল পরিবারের সদস্য হলেই পাশের আসনে বসানো যাবে, নয়তো নয়। গাড়িতে ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের হাত ব্যাগ, মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে খুবই সহায়ক হলো মাস্ক। জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে মাস্কের বিকল্প নেই। এর ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি দেশে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। শ^াসনালি থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা (ড্রপলেট), যা মানুষ কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় বেরিয়ে আসে- তা থেকেই মূলত করোনা ছড়িয়ে পড়ে। যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই- তাদের মাধ্যমেও করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে কারণে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার জন্য মাস্ক বিশেষ করে কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। করোনা মহামারী ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। মাস্কের দাম যাতে বাড়তে না পারে সেদিকেও প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে। মোট কথা মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper