ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাদক থেকে ফেরাতে হবে পথশিশুদের

সম্পাদকীয়
🕐 ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২০

আজকের শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ। তবে শিশুর বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। এর মধ্যে পথশিশুরা মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। বাড়িঘর থেকে শুরু করে পরিবারেরও ঠিক-ঠিকানা নেই অনেকের। তাই সহজেই তারা জড়িয়ে পড়ছে মাদকে। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুটওভার ব্রিজে কিংবা ফুটপাতে বিকেল হলেই নামে তাদের ঢল। বয়স বেশি না। হবে দশ-বারো। সারাদিন দেখা যায় কম। টার্গেট করে পোশাক দেখে। পিছু লেগে থাকে দু’টাকা, দশ টাকার জন্য। ভাষ্য থাকে ‘খাবার খাইনি’, ‘মায়ের অসুখ’ ইত্যাদি। এদের আরেকটি দল পথের ধারে, পার্কের মধ্যে এমনকি আবর্জনার স্তূপ থেকে প্লাস্টিক, কাচ, লোহা ও বোতল থেকে শুরু করে অনেক কিছুই খুঁজতে দেখা যায়। এ দল বেশি ভারি। একা একা ঘোরে না। সঙ্গে দু-চারজন তো থাকেই।

ভিক্ষা থেকে শুরু করে পথশিশুরা যেমন দল বেঁধে কাজ করে, তেমনি দুষ্টুমিও করে দল বেঁধেই। কোনো ক্লান্তি যেন নেই। বাড়ি নেই, ঘর নেই, কোথা থেকে এসেছে জানা নেই অনেকের। তারপরও তাদের মধ্যে সখ্য। এ সখ্য একই পেশার কারণে গড়ে উঠেছে তা নয়, একই নেশার কারণে। ছোট ছোট নেশা থেকে এখন তারা বড় বড় নেশাতেও জড়িয়ে গেছে বলে রয়েছে অভিযোগ। মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকে আবার এদের মধ্য থেকেই বেছে নিয়েছে তাদের সরবরাহকারী হিসেবে। এরা করছে ছিনতাই, চুরি। অথচ প্রশাসনও কোমলমতি এসব শিশুর ক্ষেত্রে নির্বিকার। তবে তারা কি এখন আর কোমলমতি থাকল এমন প্রশ্ন সুধীজনদের।

সরেজমিনে কিশোর বয়সী পথশিশুদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ভয়ঙ্কর তথ্য। যদিও প্রশ্ন করতেই অনেকে আবার দৌড়ে পালিয়ে যায়। কথায় কথায় এফডিসি এলাকার কয়েকজন পথশিশু জানায়, আঠা জাতীয় ড্যান্ডি নেশায় বেশি আসক্ত তারা। ফার্নিচার, জুতা ও টায়ারের দোকানে ব্যবহৃত-অব্যবহৃত বিভিন্ন আঠার কৌটা কিনে সেই আঠার ঘ্রাণ থেকে তৈরি হয় নেশা। টাকা জমিয়ে ঘুমের ওষুধ ও জন্মনিরোধ পিল থেকেও করে নেশা। কয়েকজন জানায়, সারাদিন পরিশ্রম শেষে ক্লান্তি থেকে বাঁচতে বা ময়লা তুলতে হাত পা কেটে যাওয়ার ব্যথা অনুভব থেকে রক্ষা পেতেও নেশা করে থাকে তারা। এক পথশিশু জানায়, প্রথম প্রথম গন্ধটা নিলে শরীর শীতল মনে হতো। এখন কেমন যেন ঝিমঝিম ভাব আসে।

সাইকেলের গ্যারেজ, পানের দোকান, ফার্নিচার বা মহল্লার জুতার দোকান থেকে ৩০-৩৫ টাকায় কেনা যায় একটি আঠার কৌটা। জানা যায়, তাদের নেশার তালিকায় আরও রয়েছে গাঁজা, সিরিঞ্জও। ওরা নিয়মিতই এসব নেশা করে থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের ফলে কিডনি, লিভার, পাকস্থলি ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবারে অরুচিসহ সংক্রামক নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কুঁড়িতেই পথশিশুদের প্রতি যত্নবান না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে এরা। সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা পথশিশুদের মাদক থেকে দূরে সঠিক পথে ফেরাতে উদ্যোগী হবে বলেই প্রত্যাশা।মাদক থেকে ফেরাতে হবে পথশিশুদের আজকের শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ।

তবে শিশুর বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। এর মধ্যে পথশিশুরা মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। বাড়িঘর থেকে শুরু করে পরিবারেরও ঠিক-ঠিকানা নেই অনেকের। তাই সহজেই তারা জড়িয়ে পড়ছে মাদকে। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুটওভার ব্রিজে কিংবা ফুটপাতে বিকেল হলেই নামে তাদের ঢল। বয়স বেশি না। হবে দশ-বারো। সারাদিন দেখা যায় কম। টার্গেট করে পোশাক দেখে। পিছু লেগে থাকে দু’টাকা, দশ টাকার জন্য। ভাষ্য থাকে ‘খাবার খাইনি’, ‘মায়ের অসুখ’ ইত্যাদি। এদের আরেকটি দল পথের ধারে, পার্কের মধ্যে এমনকি আবর্জনার স্তূপ থেকে প্লাস্টিক, কাচ, লোহা ও বোতল থেকে শুরু করে অনেক কিছুই খুঁজতে দেখা যায়। এ দল বেশি ভারি। একা একা ঘোরে না। সঙ্গে দু-চারজন তো থাকেই।

ভিক্ষা থেকে শুরু করে পথশিশুরা যেমন দল বেঁধে কাজ করে, তেমনি দুষ্টুমিও করে দল বেঁধেই। কোনো ক্লান্তি যেন নেই। বাড়ি নেই, ঘর নেই, কোথা থেকে এসেছে জানা নেই অনেকের। তারপরও তাদের মধ্যে সখ্য। এ সখ্য একই পেশার কারণে গড়ে উঠেছে তা নয়, একই নেশার কারণে। ছোট ছোট নেশা থেকে এখন তারা বড় বড় নেশাতেও জড়িয়ে গেছে বলে রয়েছে অভিযোগ। মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকে আবার এদের মধ্য থেকেই বেছে নিয়েছে তাদের সরবরাহকারী হিসেবে। এরা করছে ছিনতাই, চুরি। অথচ প্রশাসনও কোমলমতি এসব শিশুর ক্ষেত্রে নির্বিকার। তবে তারা কি এখন আর কোমলমতি থাকল এমন প্রশ্ন সুধীজনদের।

সরেজমিনে কিশোর বয়সী পথশিশুদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ভয়ঙ্কর তথ্য। যদিও প্রশ্ন করতেই অনেকে আবার দৌড়ে পালিয়ে যায়। কথায় কথায় এফডিসি এলাকার কয়েকজন পথশিশু জানায়, আঠা জাতীয় ড্যান্ডি নেশায় বেশি আসক্ত তারা। ফার্নিচার, জুতা ও টায়ারের দোকানে ব্যবহৃত-অব্যবহৃত বিভিন্ন আঠার কৌটা কিনে সেই আঠার ঘ্রাণ থেকে তৈরি হয় নেশা। টাকা জমিয়ে ঘুমের ওষুধ ও জন্মনিরোধ পিল থেকেও করে নেশা। কয়েকজন জানায়, সারাদিন পরিশ্রম শেষে ক্লান্তি থেকে বাঁচতে বা ময়লা তুলতে হাত পা কেটে যাওয়ার ব্যথা অনুভব থেকে রক্ষা পেতেও নেশা করে থাকে তারা। এক পথশিশু জানায়, প্রথম প্রথম গন্ধটা নিলে শরীর শীতল মনে হতো। এখন কেমন যেন ঝিমঝিম ভাব আসে।

সাইকেলের গ্যারেজ, পানের দোকান, ফার্নিচার বা মহল্লার জুতার দোকান থেকে ৩০-৩৫ টাকায় কেনা যায় একটি আঠার কৌটা। জানা যায়, তাদের নেশার তালিকায় আরও রয়েছে গাঁজা, সিরিঞ্জও। ওরা নিয়মিতই এসব নেশা করে থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের ফলে কিডনি, লিভার, পাকস্থলি ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবারে অরুচিসহ সংক্রামক নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কুঁড়িতেই পথশিশুদের প্রতি যত্নবান না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে এরা। সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা পথশিশুদের মাদক থেকে দূরে সঠিক পথে ফেরাতে উদ্যোগী হবে বলেই প্রত্যাশা।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper