ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ই-কমার্সে স্বচ্ছতা বজায় থাকুক

সম্পাদকীয়
🕐 ১২:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০১, ২০২০

ই-কমার্স বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু একশ্রেণির অপেশাদার লোকের কারণে কলুষিত হচ্ছে চমৎকার এ বিপণনব্যবস্থা। প্রতারকরা নানাভাবে গ্রাহককে হয়রানি করছে। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে শপিংমল ও মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করার বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন শপিং। নামী-দামি বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পেজ খুলে অনলাইন ব্যবসা করছেন অনেকেই। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই প্রতারণায় মেতেছে একটি চক্র। ফেসবুকে এমন অসংখ্য অনলাইন শপিং পেজ রয়েছে, যেগুলো নানা চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে। এরপর নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করে। আবার কোনো কোনো পেজ এক পণ্যের অর্ডার নিয়ে ভোক্তাকে ভুল পণ্য সরবরাহ করে।

কিছু প্রতারক চক্র আরও একধাপ এগিয়ে। তারা স্বল্পমূল্যে আকর্ষণীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যখন গ্রাহক তাদের পেজে অর্ডার করে, তখন তারা পণ্যমূল্যের কিছু অংশ অগ্রিম দাবি করে। বিকাশে অ্যাডভান্সের টাকা পরিশোধ করার পর ওই গ্রাহক দেখতে পান তাকে পেজটি থেকে ব্লক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত এসপি) কামরুজ্জামান বলেন, অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির সাইবার পুলিশ একটি ‘প্রতিষ্ঠানের’ বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরের কাশেম নগর আবাসিক এলাকা থেকে ওসমান ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে এ দম্পতি স্বীকার করেছে তারা দীর্ঘ এক বছর ধরে ‘ফ্যাশন হাউস’ নামে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে হাজারো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য না পাঠিয়ে ফেসবুক পেজ থেকে তাদের ব্লক করে দিত। পরবর্তীকালে তারা নিজেদের আড়াল করতে ‘ফ্যাশন হাউস’ পেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘ফেসবুক জোন’ নাম দিয়ে আবারও একই প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে আসছিল। সিআইডির আরও কর্মকর্তা বলেন, প্রতিনিয়ত ফেসবুকে অনলাইন শপিংয়ের নামে প্রতারণার শিকার হওয়া এমন অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। এ চক্রগুলোকে ধরতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে মানুষ একটু সচেতন হলে খুব সহজেই প্রতারকদের এসব ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।

অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন পুরান ঢাকার মিজানুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তি। তিনি বলেন, স্মার্টজোন নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে এলইডি টিভির বিজ্ঞাপন দেখি। সেখানে খুবই কম মূল্যে অরিজিনাল সনি এলইডি টিভির কিছু অফার ছিল, সেখান থেকেই একটি অর্ডার করি। সেই টিভি কেনা দুই মাসের মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়, পরে সেই পেজটি খুঁজে পাইনি। টিভি সার্ভিসিং করাতে গিয়ে জানতে পারি এগুলো চায়না থেকে আনা খুবই নিম্নমানের টিভি, তাতে সনির লোগো ব্যবহার করে গ্রাহকদের গছিয়ে দিচ্ছে কিছু প্রতারক। সম্ভাবনাময় এ খাত যেন বিতর্কিত না হয়, সে পদক্ষেপই নিতে হবে দ্রুত। অনেকের জীবন-জীবিকা জড়িত এ খাত দূষিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নির্দোষ ব্যবসায়ীরা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper