ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হবে

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:২২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০

বিদেশ থেকে যেমন দেশে বিনিয়োগ করা যায়, তেমনি বিনিয়োগ করা যায় বিদেশেও। উভয় বিনিয়োগই দেশের অর্থনীতিতে বয়ে আনে সুবাতাস। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে বিনিয়োগের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের বিশেষ বিবেচনায় এতদিন আটটি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিলেও এবার এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটায় (ইআরকিউ) পর্যাপ্ত স্থিতি থাকা সাপেক্ষে রপ্তানিকারকদের বিনিয়োগের সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। কোনো রপ্তানিকারক তার পাঁচ বছরের বার্ষিক গড় রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশ বা সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত নিট সম্পদের ২৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ অর্থ বিদেশে ইক্যুইটি হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারবে। রপ্তানিকারকদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের সুবিধা দিতে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

খসড়ার কপি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর গত মঙ্গলবার তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটায় পর্যাপ্ত স্থিতিসম্পন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। পাঁচ বছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে। কোনো খেলাপি ঋণ বা অসমন্বিত পুনঃগঠিত বৃহৎ ঋণ না থাকার সনদ দিতে হবে। কোনো ধরনের শুল্ক, ভ্যাট বা কর অপরিশোধিত না থাকার সনদও দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করা ব্যাসেল-৩ নীতিমালায় নির্ধারিত ম্যাপিং অনুযায়ী আবেদনকারীর ক্রেডিট রেটিং কমপক্ষে ২ হতে হবে।

আরও বলা হয়, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালনা, অর্থায়ন ও বিনিয়োগে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ জনবল থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রায় আয় অর্জনের সম্ভাবনার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বৃদ্ধি, বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে হবে। খসড়া বিধিমালা অনুযায়ী, সেসব দেশে বিনিয়োগ করা যাবে, যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণ চুক্তি রয়েছে এবং যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি রয়েছে- সেসব দেশে বিনিয়োগ করা যাবে। তবে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রকের দফতরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে- এমন দেশে বিনিয়োগ করা যাবে না। বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ও কোম্পানি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির সম্পূর্ণ মালিকানা বা পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করার মতো শেয়ার ধারণ করতে হবে।

বিদেশে বিনিয়োগ থেকে হওয়া আয়, লভ্যাংশ বা শেয়ার বিক্রির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া পুনঃবিনিয়োগ করা যাবে না। বিদেশে অবস্থিত সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রাপ্য সব পাওনা-লভ্যাংশ, বেতন, রয়্যালটি, পরামর্শ ফি, কমিশন ইত্যাদি অর্জিত হওয়ার ৯০ দিন বা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে। সব পর্যায়ে কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশি জনবলের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ হতে হবে। ২০১৩ সালের পর থেকে রপ্তানি প্রত্যাবাসন কোটা থেকে আটটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিনিয়োগের এ ধারা বজায় থাকবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি। তাতে ইতিবাচক ইমেজ প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper