স্কুল চালুর উদ্যোগ : স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলে শিক্ষাখাতে। হুমকির মুখে পড়েছে ছোট-বড় সব শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণ। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের সব পদক্ষেপ পোস্টার, লিফলেট তৈরি করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে বলা হয়। এর একটি খসড়াসহ উপস্থাপন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফোন করে পড়ালেখা সংক্রান্ত বিষয়ে মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার কোটি শিক্ষার্থীর ক্ষতি পোষাতে ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামের বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)।
গত মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল খোলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। বলা হয়, ‘করোনা পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পুনরায় চালুর আগে অনুমোদিত নির্দেশিকার আলোকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকা স্কুল পর্যায়ে প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।’ শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বিদ্যালয় খোলার আগে স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক এমন ৫০টির বেশি নির্দেশনা জারি করবে মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনা মেনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সিডিসি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফোন করে পড়ালেখা সংক্রান্ত বিষয়ে মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্লাসে নিয়মিত যুক্ত থাকা এবং পড়ালেখা বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করতেও নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গত সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টেলিফোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি সমন্বয় ও মনিটরিং করবেন প্রধান শিক্ষক। এ নির্দেশনা সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৪ কোটি শিক্ষার্থীর ক্ষতি পোষাতে ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামের বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দুই বছর চলবে এই প্রকল্প। প্রকল্প অনুযায়ী নতুন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষার্থী মূল্যায়নে (পরীক্ষা) ও লেখাপড়ার ক্ষতিপূরণে সহায়তা, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবা দেওয়া, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলার জন্য বিদ্যালয়ব্যবস্থার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখা এবং বিদ্যালয়ের সঙ্গে দূরশিক্ষণ কার্যক্রমকে একীভূত করা হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে লক্ষ্য রাখতে হবে শিক্ষার্থীদের যেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে না হয়। স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করেই সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা চালাবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228