ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোর অপরাধের মূলোৎপাটন জরুরি

সম্পাদকীয়
🕐 ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২০

কিশোর গ্যাং কালচার ক্রমেই ভয়ানক হয়ে উঠেছে। কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশে। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সময়ে অন্যতম আতঙ্ক হচ্ছে কিশোর গ্যাং। দেশের এমন কোনো পাড়া বা মহল্লা নেই যেখানে কিশোর গ্যাংদের উৎপাত নেই। প্রায় সময় দেখা যায় কিশোর মাঝে সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করে কিশোর গ্যাং। সিনিয়র-জুনিয়র, প্রতাপ-প্রতিপত্তি নিয়েই কিশোর গ্যাংয়ের নিয়মিত লড়াই চলছেই। নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের তা-ব কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। পরিবারের লোকজনের আশকারায় বেপরোয়া হয়ে উঠতে শুরু করেছে এসব গ্যাং। সর্বশেষ তাদের তা-বে প্রাণ গেছে বন্দরের দুজন শিক্ষার্থীর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পারিবারিক সচেতনতার অভাবেই এসব গ্যাংয়ের সৃষ্টি। তারাই মূলত নানা ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ও নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় কিশোর গ্যাং মূলত বেপরোয়া হয়ে উঠে।

একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রাথমিকভাবে বড় বড় অপকর্ম করার সাহস থাকে না। কিন্তু প্রভাবশালী নেতারা যখন তাদের কাজকর্ম করার জন্য গ্যাংদের শেল্টার দিয়ে থাকে। তখন সেসব গ্যাংয়ের সদস্যরা ধীরে ধীরে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আর এভাবে গ্যাংগুলো মারাত্মক অপকর্ম করে থাকে। গত সোমবার বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেওয়া দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের একজন মিহাদ দ্বাদশ শ্রেণির অন্যজন জিসান নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় সোমবার বিকেলে স্থানীয় দুই গ্রুপ কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় একপক্ষের ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় মিহাদ ও জিসান।

মিহাদ ও জিসান নদী থেকে উঠে গেছে এমনটি ভেবে স্থানীয় লোকজন তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি। তবে রাতে তারা বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে জানতে পারে সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনায় তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। এসময় তাদের খোঁজে শীতলক্ষ্যার তীরে বাড়তে শুরু করে জনসমাগম। রাত পৌনে ১২টায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৪ আগস্ট ফতুল্লার গাবতলীতে একটি ঘটনা ঘটে। সেদিন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাবেক ফুটবলার গোলাম গাউসের ছেলে উৎস বড় একটি ছোরা নিয়ে একটি গলি থেকে উত্তেজিত অবস্থায় বের হয়ে আসে। সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। কয়েক মিনিট পর আবারও উৎস সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে সেই গলিতে প্রবেশ করে। কাউকে ধাওয়া করার জন্যই মূলত ওই অবস্থান নেয় উৎস।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, কিশোর অপরাধীরা যতবড় রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারেই থাকুক, তা ছাড় দেওয়া হবে না। অচিরেই জেলাব্যাপী সাড়াশি অভিযান চালানো হবে। কিশোর অপরাধীদের প্রতিহত করতে পুলিশ মাঠে নেমে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়, আরও এলাকাতেই রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। কিশোর অপরাধের মূলোৎপাটন করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। নইলে আগামীতে দিতে হবে আরও মাশুল।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper