ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রেডিওতে ক্লাস প্রচারের উদ্যোগ ফলপ্রসূ হোক

সম্পাদকীয়
🕐 ৫:০১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৬, ২০২০

করোনাভাইরাসের চড়া মাশুল দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক জীবনে নেমে আসে বিরাট ছন্দপতন। বিপর্যস্ত দেশের শিক্ষাখাত। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্থগিত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। মহামারিতে প্রকট হচ্ছে সেশনজটের আশঙ্কা। পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। সংকট সমাধানে প্রথমে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপ্তি বাড়ায় সরকার। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। তাই সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পরই স্কুল-কলেজে যাবে ছাত্র-ছাত্রীরা।

গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিগগিরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি রেডিওতে ক্লাস সম্প্রচার শুরু হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানাতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ জানান, রেডিও সম্প্রচারের বিষয়ে ইতোমধ্যে আমাদের রেকর্ডিং কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই আমরা রেডিও সম্প্রচার শুরু করব। তবে এ কার্যক্রম শুরুর আগে অভিভাবকদের বিষয়টি ভালোভাবে জানাতে চাই। তাই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাকদের বিষয়টি জানাতে। পাশাপাশি রেডিওগুলোতে এ সংক্রান্ত প্রচারণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং এটুআই সমন্বয় করে রেডিওতে প্রচারের কন্টেন্ট তৈরি করবে। বাংলাদেশ বেতার এবং ১৬টি কমিউনিটি রেডিওতে এগুলো প্রচার করা হবে। এফএম রেডিও বা স্মার্টফোনের রেডিও অপশন থেকে এসব ক্লাস শোনা যাবে।

শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত ৭ এপ্রিল থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচার করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ইউনেস্কোর অর্থায়নে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। তবে টিভি না থাকায় অনেকেই ক্লাস দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানা যাচ্ছে। তাই, রেডিওতে ক্লাস প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৬ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর ফলে পিছিয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষাও। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা কার্যক্রম যাতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে আশঙ্কা থেকে প্রথমে মাধ্যমিক স্কুলের জন্য সংসদ টিভিতে ক্লাস পরিচালনা শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উদ্যোগে শুরু হয় প্রাথমিকের ক্লাস।

দীর্ঘমেয়াদি সংকটের কথা মাথায় রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অনলাইনে ক্লাস পরিচালনার তাগাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে ইউজিসির আহ্বানের পরও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় তার অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারছে না সফলভাবে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। আবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একটি বা দুটি বিভাগে সপ্তাহে একটি, দুটি ক্লাস নিচ্ছে। রেডিওতে ক্লাস প্রচার করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এর সুফল মিলবে। অভিভাবকরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্তানকে পড়াশোনায় ব্যস্ত রাখতে পারবেন। ফলপ্রসূ হোক এই উদ্যোগ।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper