ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রেলে পণ্য পরিবহনের উদ্যোগ ইতিবাচক

সম্পাদকীয়
🕐 ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে নানা ক্ষেত্রে। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে মানুষের জীবনযাত্রায়। রাজনীতি ও অর্থনীতিতে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই যাত্রী পরিবহন বন্ধ ছিল রেলে। পরে রেল চলাচল শুরু হলেও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু রেলে পণ্য পরিবহনে আশা জাগছে। ক্রমেই চাহিদা বাড়ছে।

গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ উদ্যোগ রেলের জন্য লাভজনক হয়ে উঠবে। শুধু দেশের ভেতরে নয়, এ সময়ে ভারত থেকেও রেলে পণ্য পরিবহন বেড়েছে। করোনার প্রথম দিকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় সেই সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল পণ্য পরিবহনে। যাত্রী পরিবহনে রেল ইঞ্জিন ব্যবহার না হওয়ায় সেই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে পণ্য পরিবহনে, তাই আয়ের পথও খুলছে।

যাত্রী পরিবহনে রেলের আর্থিক ক্ষতি থাকলেও পণ্য পরিবহনে রেল শুধু লাভের মুখই দেখেছে সবসময়। মহামারিকালে সে আয়ের পথ আরও খুলছে বলে জানান রেল কর্মকর্তারা। রেলের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান বলেন, পণ্য পরিবহনে রেলের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা বিবেচনা করে এ সেবা আরও বৃদ্ধি করা হবে। গত মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর সারা দেশের কৃষক পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন।

পরে পণ্য বাজারজাত করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়, যার অংশ হিসেবে পণ্য পরিবহনে কয়েকটি ট্রেন চালু করা হয়। রেল কর্মকর্তারা জানান, ওই সময় থেকেই রেলে পণ্য পরিবহন বাড়তে শুরু করে। এরপর গত ৬ জুন থেকে রাজশাহী-ঢাকা রুটে যাত্রা শুরু করে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’।

রাজশাহী থেকে প্রতি কেজি আম এক টাকা ১৮ পয়সায় ঢাকায় আসছে। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান জানান, গত এক মাসে এক হাজার টনের বেশি আম ট্রেনে এসেছে। প্রতিটি ট্রেনে ২০০ টন করে আম নিয়ে আসার ধারণক্ষমতা রয়েছে। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং আগামীতে এ ধরনের মৌসুমি ফল সরবরাহে আরও উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চাহিদার ওপর নির্ভর করে রেল পণ্য পরিবহন করে থাকে। গত বুধবার পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ২৫টি পণ্যবাহী ট্রেন চলেছে। চাহিদা মোতাবেক সেবা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের পর সবচেয়ে বেশি খাদ্যপণ্য রেলের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়েছে। এপ্রিল থেকে মে মাসে এ পরিবহন ছিল সবচেয়ে বেশি এবং আয়ও হয়েছে।

জুন থেকে চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় খাদ্যপণ্য পরিবহন কিছুটা কমেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুর, ঢাকা-ভৈরব-চট্টগ্রাম এবং খুলনা থেকে নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকা রুটে চারটি পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। গত ১৯ মে থেকে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের উৎপাদিত পণ্য রেলে পরিবহনে কৃষকের ভাড়া ২৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি সব ধরনের সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহার করে নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের সময়োপযোগী এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভোক্তা, উৎপাদক সবাই এই উদ্যোগের সুফল ভোগ করবে। ইতিবাচক এই উদ্যোগ চলমান রাখতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper