ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মানবিক বাড়িওয়ালা কমিটি গঠন প্রশংসনীয়

সম্পাদকীয়
🕐 ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

বাধ্য হয়েই মহানগরীর অধিকাংশ মানুষ অন্যের বাড়িতে ভাড়ায় থাকে। মাস শেষে বেতনের প্রায় অর্ধেক টাকা গুনে দিতে হয় মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের বাবদে। ভাড়াটিয়ারা এমনিতেই নানা সংকটে থাকে, বিপদের মাত্রা বেড়েছে এবার। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা গেছে করোনা আক্রান্তকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, বাড়িতে থাকলেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না, স্বামী করোনা আক্রান্ত শুনে পালিয়ে গেছে স্ত্রী, করোনার চিকিৎসা করায় মাঝরাতে চিকিৎসককে বের করে দিল বাড়িওয়ালা, করোনা আক্রান্ত বাবা-মাকে রাস্তায় ফেলে গেল সন্তানÑ অপ্রত্যাশিত সব খবর। করোনা আক্রান্ত সন্তানকেও জঙ্গলে ফেলে গেছে বাবা-মা। আতঙ্ক, ভয় ও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্রিয় মানুষও করোনা রোগীর কাছে যেতে চান না।

করোনার কঠিন সময়ে মানবিকতার অনন্য নজির দেখিয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ি বাড়িওয়ালা কমিটি। ১০৫টি বাড়ি নিয়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বাস এখানে। সারা দেশে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটির পর থেকে রমজানের ঈদ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন করোনা রোগীর দায়িত্ব নিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলেছেন এই কমিটির সদস্যরা। রোগীদের তারা হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিজেদের দায়িত্বে রেখে মানসিক সমর্থন ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। সাংবাদিক রাসেল ওই এলাকায় বাস করেন। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে হালকা জ¦র ও শুকনো কাশি অনুভব করলে নমুনা পরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় বাড়িওয়ালা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন তার পাশে দাঁড়ান।

রাসেলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রিপন বলেন, সাংবাদিক সাহেবের করোনার খবর জানতে পারি তার বাড়িওয়ালার কাছে। পাশের বাড়িওয়ালা পুলক ও অন্য সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসি। রোগীকে নিয়ে কী করা যায়। এই সময় তারা সিদ্ধান্ত দেন, সাংবাদিকের যদি বড় ধরনের কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে তাকে বাসায় রাখা হোক। হাসপাতালে পাঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তার খাওয়া-দাওয়া, ওষুধসহ সকল দায়িত্ব আমরা নিলাম। আমিও ভাবির সঙ্গে একমত পোষণ করলে আমার কমিটির অন্য সদস্যরাও তাতে সায় দেন। আমাদের সিদ্ধান্তের কথা থানা পুলিশকে জানালে তারাও সমর্থন করে। আমাদের সবার উচিত করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা।

করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ওই এলাকার কয়েকজন বলেন, দক্ষিণ বেগুনবাড়ির বাড়িওয়ালা কমিটি নিঃস্বার্থ সহায়তাকারী। তারা যদি আমাদের পাশে না থাকতেন, মানসিক সমর্থন দান ও সহায়তা না করতেন তাহলে কী হত আল্লাহই ভাল জানেন। এছাড়া স্থানীয়রা বাড়িওয়ালা কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন এমন কাজ সবার করা উচিত। তেজগাঁও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার শফিউল্লাহ বলেন, দক্ষিণ বেগুনবাড়ি বাড়িওয়ালা কমিটি করোনা রোগীদের সহযোগিতা করে আসছে। যা সঠিক উদ্যোগ। তেজগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রুহুল আমিন বলেন, করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ বেগুনবাড়ি বাড়িওয়ালা কমিটি মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তেজগাঁও বাড়িওয়ালাদের এ মানবিক উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। দেখাদেখি অন্য বাড়িওয়ালাদেরও এগিয়ে আসা সময়ের দাবি।মানবিক বাড়িওয়ালা কমিটি
গঠন প্রশংসনীয়

বাধ্য হয়েই মহানগরীর অধিকাংশ মানুষ অন্যের বাড়িতে ভাড়ায় থাকে। মাস শেষে বেতনের প্রায় অর্ধেক টাকা গুনে দিতে হয় মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের বাবদে। ভাড়াটিয়ারা এমনিতেই নানা সংকটে থাকে, বিপদের মাত্রা বেড়েছে এবার। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা গেছে করোনা আক্রান্তকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, বাড়িতে থাকলেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না, স্বামী করোনা আক্রান্ত শুনে পালিয়ে গেছে স্ত্রী, করোনার চিকিৎসা করায় মাঝরাতে চিকিৎসককে বের করে দিল বাড়িওয়ালা, করোনা আক্রান্ত বাবা-মাকে রাস্তায় ফেলে গেল সন্তানÑ অপ্রত্যাশিত সব খবর। করোনা আক্রান্ত সন্তানকেও জঙ্গলে ফেলে গেছে বাবা-মা। আতঙ্ক, ভয় ও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্রিয় মানুষও করোনা রোগীর কাছে যেতে চান না।

করোনার কঠিন সময়ে মানবিকতার অনন্য নজির দেখিয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ি বাড়িওয়ালা কমিটি। ১০৫টি বাড়ি নিয়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বাস এখানে। সারা দেশে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটির পর থেকে রমজানের ঈদ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন করোনা রোগীর দায়িত্ব নিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলেছেন এই কমিটির সদস্যরা। রোগীদের তারা হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিজেদের দায়িত্বে রেখে মানসিক সমর্থন ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। সাংবাদিক রাসেল ওই এলাকায় বাস করেন। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে হালকা জ¦র ও শুকনো কাশি অনুভব করলে নমুনা পরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় বাড়িওয়ালা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন তার পাশে দাঁড়ান।

রাসেলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রিপন বলেন, সাংবাদিক সাহেবের করোনার খবর জানতে পারি তার বাড়িওয়ালার কাছে। পাশের বাড়িওয়ালা পুলক ও অন্য সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসি। রোগীকে নিয়ে কী করা যায়। এই সময় তারা সিদ্ধান্ত দেন, সাংবাদিকের যদি বড় ধরনের কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে তাকে বাসায় রাখা হোক। হাসপাতালে পাঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তার খাওয়া-দাওয়া, ওষুধসহ সকল দায়িত্ব আমরা নিলাম। আমিও ভাবির সঙ্গে একমত পোষণ করলে আমার কমিটির অন্য সদস্যরাও তাতে সায় দেন। আমাদের সিদ্ধান্তের কথা থানা পুলিশকে জানালে তারাও সমর্থন করে। আমাদের সবার উচিত করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা।

করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ওই এলাকার কয়েকজন বলেন, দক্ষিণ বেগুনবাড়ির বাড়িওয়ালা কমিটি নিঃস্বার্থ সহায়তাকারী। তারা যদি আমাদের পাশে না থাকতেন, মানসিক সমর্থন দান ও সহায়তা না করতেন তাহলে কী হত আল্লাহই ভাল জানেন। এছাড়া স্থানীয়রা বাড়িওয়ালা কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন এমন কাজ সবার করা উচিত। তেজগাঁও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার শফিউল্লাহ বলেন, দক্ষিণ বেগুনবাড়ি বাড়িওয়ালা কমিটি করোনা রোগীদের সহযোগিতা করে আসছে। যা সঠিক উদ্যোগ। তেজগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রুহুল আমিন বলেন, করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ বেগুনবাড়ি বাড়িওয়ালা কমিটি মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তেজগাঁও বাড়িওয়ালাদের এ মানবিক উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। দেখাদেখি অন্য বাড়িওয়ালাদেরও এগিয়ে আসা সময়ের দাবি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper