ট্রেনে আম পরিবহন, ব্যবসায়ীদের দিন ফিরুক
সম্পাদকীয়
🕐 ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, জুন ০৭, ২০২০
করোনাভাইরাসের প্রকোপে এবার থমকে গেছে প্রায় সবকিছুই। এর মধ্যে আশঙ্কায় দিন গুনছিলেন আম চাষি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। একে তো গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া, ক্রেতারা ছিল তুলনামূলক কম। ব্যবসায়ী লোকসানের আশঙ্কা যেন অবশেষে স্বস্তিতে পরিণত হয়েছে।
রেলসেবায় যুক্ত হয়েছে নতুন কৃষিপণ্যবাহী ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ নামের একজোড়া ট্রেন। এই ট্রেন দুটি চলাচল করছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে। যা কৃষি পণ্যবাহী (পার্সেল) হিসেবে চলাচল করছে। গত শুক্রবার বিকালে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহনপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। ১ ও ২ নামের ট্রেন দুইটি সপ্তাহে ৭ দিনই এই রুটে আম-সবজিসহ বৈধ পণ্যসামগ্রী নিয়ে যাতায়াত করবে। স্টেশনের দূরত্ব ভেদে ভাড়া পড়বে প্রতিকেজি সর্বনিম্ন ১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৩০ পয়সা।
গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহী স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ট্রেন দুটির ভাড়া ও চলাচলের সময়সহ বিস্তারিত তুলে ধরেন পশ্চিম রেলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আব্দুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী। এবার গতবারের তুলনায় আমের উৎপাদন অনেকটাই কম হচ্ছে বলে মনে করছেন চাষিরা। ফলে করোনা দুর্যোগেও আমের দাম নিয়ে খুশি চাষিরা। গত ৩১ মে’র পর থেকে প্রতিদিনই আমের দাম বাড়ছে। চাষিরা বলছেন, এবার বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আমের ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে আমের রঙও এবার খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদনও কম হচ্ছে।
রাজশাহী রেলস্টেশনে ট্রেনে আম ও কৃষিপণ্য পরিবহন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত প্রতি কেজি পণ্য পাঠাতে খরচ পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী স্টেশন থেকে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা। এর মাঝে পণ্য নামানো যাবে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, মৌচাক, জয়দেবপুর, টঙ্গী, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও স্টেশনে। এছাড়াও রোহনপুর আমনুরা, সিতলাই, সরদহ রোড, আড়ানী, আব্দুলপুর স্টেশন থেকেও ঢাকার উদ্দেশ্যে পণ্য পরিবহন করা যাবে। একই ভাড়ায় ঢাকা থেকে পণ্য নিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসা যাবে। এর মাঝে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, মৌচাক, জয়দেবপুর, টঙ্গী, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও স্টেশন থেকেও পণ্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসা যাবে।
এই উদ্যোগের আওতায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনে আম ঢাকায় পৌঁছে যাবে মাত্র ৭ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে। আমের সিজন শেষ হওয়ার পরও পণ্যবাহী ট্রেনটির যাত্রা অব্যাহত থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, রাজশাহী-আব্দুলপুর রুটের রেললাইনের ধারণ ক্ষমতা অনুসারে প্রতিদিন ২২ জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল থাকাটা স্বাভাবিক। সেখানে প্রতিদিন চলাচল করে ৩৪ জোড়া ট্রেন। পরিবহনে ট্রেন ব্যবহার করায় যাতায়াত খরচ কমে এসেছে অনেকটাই। এর ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, ভোক্তারাও পাবেন কম মূল্যে মৌসুমি ফল কেনার সুযোগ। মিটবে পুষ্টি চাহিদাও। ভবিষ্যতেও এ সেবা অব্যাহত থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এতে চাষি-বিক্রেতা-ভোক্তা সবাই লাভবান হবেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228