ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষার্থীদের সংকট দূর হোক

সম্পাদকীয়
🕐 ৫:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে হুমকিতে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থাও। শিক্ষার্থীদের একাংশ অলস সময় কাটাচ্ছে। সময় মতো পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে না পারলে সেটা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দীর্ঘ এ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষাবর্ষের সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব করে এনসিটিবি। শিক্ষাবর্ষের সময় বাড়লে ২০২১ সালে ছুটি কমিয়ে শিক্ষাবর্ষের সময় ঠিক রাখা যাবে বলেও মনে করে সংস্থাটি। এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, করোনার কারণে যদি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, তাহলে আমরা কী করব এসব বিষয়ে বৈঠক হয়েছে।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ভার্চুয়াল বৈঠকে এ প্রস্তাব উঠে আসে। বৈঠকে অন্যদের পক্ষ থেকে সিলেবাস কমানোর পক্ষেও প্রস্তাব করা হয়। তবে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। সিলেবাস কমানো হলে নির্ধারিত জ্ঞানও অর্জিত হবে না বলে মত দেন অনেকে। তবে দুই প্রস্তাবের কোনোটিই চূড়ান্ত হয়নি। নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি ও ছুটি বাড়ানো না বাড়ানোর ওপর।

গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্রের বরাতে বলা হয়, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সচিব আলোচনা করতে বলেছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি ও ছুটি বাড়ানো, না বাড়ানোর সঙ্গে। যদি জুলাইয়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে শিক্ষাবর্ষ বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। ছুটি বাড়ছে কিনা কতদিন বাড়বে তার ওপর নির্ভর করে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে মাত্র। এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।

গত ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ এ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পিইসি ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী জেএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে (নভেম্বরে) হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা এবং এসএসসির ফল প্রকাশ স্থগিত রয়েছে। সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা গতিশীল রাখা যায় সে পদ্ধতি উদ্ভাবন এখন সবচেয়ে জরুরি বলেই আমরা মনে করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper