ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মৎস্য খাতে আলোর হাতছানি

সম্পাদকীয়
🕐 ২:১২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৭, ২০২০

প্রবাদে আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। এককালে এ প্রবাদের কার্যকারিতা থাকলেও বর্তমানে হারাতে বসেছে। কারণ বাঙালির পাত থেকে মাছ উধাও হয়েছে আরো আগেই। এ দেশে মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদটি এসেছিল মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য থাকার কারণে। এই বন্ধ্যাকালেই দেখা মিলল একটি সুসংবাদের। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এক বছরের ব্যবধানে মাছ, গরু ও ছাগল উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমানে উৎপাদিত মাছের পরিমাণ ৪২ দশমিক ৭৭ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ মাছ মোট ৩৬ দশমিক ২২ লাখ মেট্রিক টন ও সামুদ্রিক মাছ ৬ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়াতে কয়েকটি গভীর সমুদ্রগামী নৌযান কেনার পরিকল্পনা করছে মৎস্য অধিদফতর। এর মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে বেশি পরিমাণে টুনা মাছ আহরণ করা হবে। এ ব্যাপারে নতুন প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদফতর।

এ বিষয়ে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) রমজান আলী বলেন, সামনে দেশে মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য আমরা বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছি। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ মাছ উৎপাদনের পরিমাণ বেশি। সামুদ্রিক মাছ বলতে উপকূলীয় এলাকা থেকে উৎপাদিত মাছ। এখন গভীর সমুদ্র থেকে সরকারিভাবে টুনা মাছ আহরণের ব্যাপারে ভাবছি। এতে করে দেশে মোট মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে। এজন্য কয়েকটি ভ্যাসেলও কেনা হবে। সূত্র জানায়, বর্তমান বিশ্বে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে বিপুল সাফল্য অর্জন করবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাটকা সংরক্ষণসহ সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে দেশে বর্তমানে ইলিশ মাছের পরিমাণ বেড়েছে।

দেশে মোট উৎপাদিত মাছের মধ্যে চাষকৃত মাছের পরিমাণ ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে পুকুরে সব থেকে বেশি ১৯ লাখ মেট্রিক টন মাছ চাষ হয়। এরপরই রয়েছে প্লাবনভূমি থেকে উৎপাদিত মাছ সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া নদীর মোহনায় ৩ দশমিক ২১, সুন্দরবনে ০ দশমিক ১৮, বিলে ১, কাপ্তাই লেকে ০ দশমিক ১০, মৌসুমি মাছ চাষ ২ দশমিক ১৬ ও চিংড়ি ঘেরে আড়াই লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করা হয়েছে। এর বাইরে উপকূলীয় এলাকায় ৫ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন মাছ চাষ হয়েছে। এছাড়া হাওর-বাঁওড়, খাঁচা ও পেন কালচারে মাছ চাষ বাড়ছে।

পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশু ও হাস-মুরগির উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। গবাদি পশু থেকে মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণ হয়। দেশে বর্তমানে মোট গবাদিপশুর সংখ্যা (গরু ও ছাগল) ২ কোটি ৯২ লাখ ৬ হাজার। ২০০৮ সালের শুমারিতে এ সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৬২ লাখ ১৯ হাজার। উল্লেখযোগ্য এ অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগও জরুরি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper