ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন জরুরি

সম্পাদকীয়
🕐 ৭:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২০

একের পর এক অগ্নিকাণ্ড এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্টদের। সম্প্রতি মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে সামনে চলে এসেছে অনেক প্রশ্নের। যে প্রশ্নগুলো মনে ঘাই মারলেও মিলছে উত্তর! রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ঝিলপাড় বস্তির পশ্চিম অংশে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কয়েকশ’ঘর।

গত বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রূপনগরের ‘ত’ ব্লকের বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট পৌনে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের মাত্রা বেড়ে গেলে বস্তির পাশের একটি  ছয়তলা ভবনেও তা ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস আসতে দেরি করেছে অভিযোগ তুলে তাদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা।

গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বস্তির এক অংশে হাজারের বেশি ঘর আছে। এর মধ্যে অন্তত দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে তারা ধারণা করছেন। রজনীগন্ধা মার্কেট থেকে ওই বস্তির দূরত্ব সিকি কিলোমিটারের মতো। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখান দিয়েই ঢোকার চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি ঢুকতে দেরি হয়েছে। তাতে কাজেও বিঘœ ঘটেছে। আরামবাগ পয়েন্ট দিয়ে ঢুকলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে সুবিধা হতো। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কারও আহত হওয়ার তথ্যও মেলেনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, সংকীর্ণ গলি গিয়ে তাদের গাড়ি নিয়ে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে। কাছাকাছি পানির উৎস না পাওয়ার কারণেও কাজে বিঘœ ঘটেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে যখন কাজে এসেছিলেন, তখন সব স্বাভাবিকই ছিল। পরে কাজের বাড়ি থেকে বস্তিতে ধোঁয়া উঠতে দেখে ছুটে আসেন। কিছু জিনিসপত্র বের করার চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পিছিয়ে যেতে হয়েছে। চোখের সামনেই ছাই হয়েছে সারি সারি ঘর।

রূপনগরে ঝিলপাড় বস্তির পাশে মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের চলন্তিকা বস্তিতে গত বছর আগস্টে এবং চলতি বছর জানুয়ারিতে দুই দফা অগ্নিকা- ঘটে। এবার এ বস্তিতে আগুন লাগার কারণ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। যেখানে আগুন লেগেছে, তার পাশেই দেখা যায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখাÑ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব সম্পত্তিতে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের পুনর্বাসনের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান।

আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর জন্য পাশের একটি স্কুলে আশ্রয়ের বন্দোবস্ত হয়েছে। তাদের জন্য দুপুর ও রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। আমরা তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করব। একজনও খোলা আকাশের নিচে থাকবে না। যে পর্যন্ত এখানে তাদের বসবাস উপযোগী না হবে সে পর্যন্ত আমরা তাদের পাশে আছি। তাদের যেন কোনোভাবে ক্ষতি না হয়। তাদের থাকা খাওয়া, বস্ত্র, বাসস্থান সব ব্যবস্থা আমরা করব। এসব অগ্নিকা- নাকি নাশকতা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এর পেছনে কোনো ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বা সংঘবদ্ধ চক্র থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper