ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রপ্তানি পরিধি বাড়ুক আরও

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ০১, ২০২০

বাংলাদেশ আমদানি যেমন করে, তেমনি রপ্তানিও করে। তবে সুষ্ঠু অর্থনীতির জন্য আমদানির চেয়ে রপ্তানি খাত জোরালো হওয়া বাঞ্ছনীয়। অতীতে সোনালি আঁশ পাট রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। সে অধ্যায়ের ইতি ঘটার পর বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতেই আসছে সর্বাধিক রেমিটেন্স। জনশক্তি রপ্তানিও এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এর বাইরে মৎস্য, চাপাতাসহ কয়েকটি পণ্যে বিদেশের বাজার মাত করছেন রপ্তানিকারকরা। সম্প্রতি সংবাদ এল যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রপ্তানির। এ সংবাদ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন সংযোজন। এতদিন যে পণ্য আমদানি করতে হত সে পণ্যই রপ্তানি শুভ ইঙ্গিত বহন করে।

এ বিষয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে খোলা কাগজ। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে তৈরি ২৬ হাজার স্মার্টফোন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হবে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও স্মার্ট টেলিভিশন এখন দেশেই তৈরি করে রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১ মার্চ (গতকাল) বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটনের ২৬ হাজার স্মার্টফোন আমেরিকায় রপ্তানি করা হবে। ওয়ালটন ১৮ লাখ ফ্রিজ উৎপাদন করে দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করছে। গত ৩ বছরে বাংলাদেশে ১১টি ম্যানুফ্যাকচারিং এবং অ্যাসেম্বলিং প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে। প্রতি বছর ৪ কোটি মোবাইল, ১০ লাখ ল্যাপটপ আমদানি করে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের মাধ্যমে মুজিববর্ষে ৪০ হাজার শিক্ষিত বেকারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। তারা যেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসেই নিজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।

পঞ্চগড়ের গাড়াতি ছিটমহলে ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গত শনিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ৬৮ বছর পিছিয়ে থাকা বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়েন্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার মুজিববর্ষে উপহার দেওয়া হলো। মুজিববর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৪০ হাজার ৫০০ জনকে আইসিটি লার্নিংয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রকল্প দিয়েছেন তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ইতোমধ্যে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আইসিটি সেক্টরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থান পেয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। সেই সঙ্গে প্রায় ২ লাখ সফটওয়্যার টেকনোলজিতেও কাজ করছে। লক্ষাধিক ছেলেমেয়ে কল সার্ভিসে কাজ করছেন। ৫০ হাজারেরও বেশি ছেলেময়ে ই-কমার্সে কাজ করছেন।

যুবকদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি বাধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সামনে তিনটি বাধা ও শত্রু রয়েছে। এ তিনটি বাধা হচ্ছে মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি। এ তিনটি বাধা বা শত্রুকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য প্রযুক্তির ভালো দিক ব্যবহার করে তরুণদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দিকে জোর দেন তিনি। আমরা মনে করি, দেশকে এগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্ম যত প্রশিক্ষিত হবে, প্রযুক্তি ও আমদানি ক্ষেত্রেই ততই এগিয়ে যাবে দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে অপরাপর দেশেও স্মার্টফোন রপ্তানির ধারা সূচিত হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper